দেশের অন্যান্য জেলা উপজেলার মতো উলিপুর উপজেলার মুক্তিযুদ্ধের গৌরবান্বিত ইতিহাস রয়েছে। উলিপুর মুক্ত দিবস হলো ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১। মহান মুক্তিযুদ্ধে এ উপজেলার বেশীর ভাগ অঞ্চল ১১ নং সেক্টরের এবং দূর্গাপুর,বেগমগঞ্জ, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের কিছু অংশ ৬ নং সেক্টরের অন্তর্ভূক্ত ছিল। হাতিয়া ইউনিয়নের দাগার কুটি নামক স্থানে ১৩ নভেম্বর ১৯৭১ সনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকবাহিনীর তুমুল লড়াই সংঘটিত হয়। এক পর্যায়ে পাকবাহিনীর সৈন্যদের গুলিবর্ষণে স্থানীয় প্রায় ৬৯৭ জন সাধারণ গ্রামবাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তাদের স্মরণে ঐ স্থানে একটি স্মৃতিফলক নির্মিত হয়েছে। উলিপুর রেল স্টেশনের পাশে একটি গণকবর রয়েছে। উলিপুর চিলমারী অঞ্চলের সাধারণ মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে ঐ স্থানে মাটি চাপা দিয়ে কবর দেয়া হতো। এ উপজেলায় মোট ৮১৮ জন তালিকাভূক্ত মুক্তিযোদ্ধা আছেন। তন্মধ্যে ১৯ জন তালিকাভূক্ত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে ৭০৭ জন মুক্তিযোদ্ধাও তাদের পরিবারকে সরকারী ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সংগঠন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উলিপুর কমান্ড এর নির্বাচিত কমান্ডার হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব ফয়জার রহমান।
মুক্তিযুদ্ধে উলিপুর
1
Ulipur.com
Ulipur.com is an online news portal focusing news & information from Kurigram, a northern district of Bangladesh.
1 Comment
*************************************************************
মুক্তিযোদ্ধাদের ইতিহাস সংরক্ষন সম্পর্কিত সংবাদ
“““““““““““““““““““““““““““““““`
http://www.mssangsad.com/form.php?actionID=form
মুক্তিযোদ্ধারা তাদের যুদ্ধের ইতিহাস এই লিং টায় গিয়ে অনলাইনে পূরন করে দিতে পারেন তাদের যুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের জন্য ।
আমাদের http://www.mssangsad.com সাইট টা দেখুন ও আমাদের সাথে কাজ করতে আগ্রহী হলে যোগাযোগ করুন।
মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির জীবনে এক মহত্তম ঘটনা। অসীম সাহসিকতা, বীরত্ব, আত্মত্যাগ, আর অবর্ণনীয় দুঃখকষ্ট উৎরে যাওয়ার এক বড় ক্যানভাস । এই মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস ই রচিত হয়েছে কিন্তু এই স্বাধীন বাংলার তৃনমূল থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরে পরে থাকা ঐ সব মানুষ যারা এই স্বাধীন বাঙ্গালী জাতীর বীর সন্তান যারা পরাধীন বাংলাকে স্বাধীন করার লক্ষে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সারা দিয়ে নিজের জীবনকে বাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পরেছিল । প্রত্যেক টা মুক্তিযোদ্ধার ই আছে আলাদা আলাদা অসীম সাহসিকতা, বীরত্ব ও আত্মত্যাগ ইতিহাস । কালের স্রোতে হয়তো অনেকেই বিধাতার ডাকে এ পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন আর কিছু সংখ্যক এই বাংলার সেরা বীর সন্তানেরা আছেন আমাদের মাঝে এখানো । তাদের আমরা ক জনেই বা চিনি আর খোজ রাখতে পারি ? এরাও হয়তো কালের স্রোতে হারিয়ে যাবে আমাদের মাঝ থেকে । আমরা হয়তো একটু একটু এই সব বাংলার দামাল বীর সৈনিকদের গল্প শুনেছি কিন্তু আগামী প্রজন্মে কাছে এই সব মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের ইতিহাস পৌছে দেয়া ও আমাদের এই প্রজন্মের দায়ীত্ব ।
“মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস সংরক্ষণ কমিটি” বাংলাদেশের বর্তমান জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যক্তিগত যুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণ, প্রত্যক্ষদর্শীর যুদ্ধের বর্নণা, মুক্তিযোদ্ধাদের জীবন চিত্র ও বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস আগামী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার লক্ষ্যে ওয়েব সাইট ও বই আকারে প্রকাশ করার জন্য উদ্ব্যোগ গ্রহণ করেছে এবং তার ই ধারাবাহিকতায় ক্রমান্নয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় কাজ শুরু করে যাচ্ছে ।
তাই আমাদের এই দেশপ্রেম মূলক ইতিহাস সৃষ্টিকারি কর্মকান্ড যাতে সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে সম্পন্য করতে পারি তার জন্য দেশের প্রত্যেক স্বাধীনতার স্বপক্ষ্যের ব্যাক্তি বর্গের কাছে সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি ।
মোঃ মাসুদুল করিম অরিয়ন
সভাপতি
মুক্তিযোদ্ধার ইতিহাস সংরক্ষণ কমিটি
যোগাযোগ : +৮৮-০১৭১৫৪৪৮৪২৮/ ০১৯১০৭৯৯০০৬
Email : chairman@mssangsad.com
misc.mssbd@gmail.com
*****************************