|| নিউজ ডেস্ক ||
গত ১৭ই ফেব্রুয়ারি উপজেলার মন্ডলের হাট উচ্চ বিদ্যালয় এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে নকল ও বহিষ্কারের ঘটনার তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ডিভাইসের মূল অংশ উদ্ধারে প্রশাসনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জনগণ। প্রত্যন্ত গ্রামে অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে নকলের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করলেও এর পেছনে জড়িতদের ধরতে প্রশাসনের দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ না থাকায় হতাশ এলাকাবাসী।
যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রসচিব মোঃ কহিদুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে তার কাছে কোন তথ্য নাই।
এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করে তাঁকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ক্ষুদ্রবার্তার মাধ্যমে প্রশ্ন পাঠিয়েও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই রঘুরায় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশফিকা রেজওয়ানা ইষা পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা চলাকালীন সময় বোরকা ও হিজাবের ভেতরে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস লুকিয়ে নকল করেন। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরীক্ষার হল পরিদর্শনের সময়ে আশফিকা রেজওয়ানাকে সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসা করেন এবং সে স্বীকার করে। পরে ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসটি উদ্ধার করা হয়। তবে ডিভাইসটির মূল অংশটি সেসময় উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
বহিষ্কৃত পরীক্ষার্থী ঈষা দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই রঘুরায় উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা-মা উভয়েই একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। বাবা-মা উভয়েই শিক্ষক হওয়া সত্ত্বেও সন্তানের এ ধরনের অভিনব নকলের ঘটনা এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
অভিযোগ উঠেছিল, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মন্ডলের হাট উচ্চ বিদ্যালয় ও দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে নকলের মহা উৎসব চলেছে। তাই সচেতন নাগরিকদের দাবী, নকলে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।