।। ডেস্ক নিউজ ।।
উলিপুরে বোরো ধানের চাষের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে । এখন মাঠে মাঠে জমি প্রস্তুতি ও চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। তবে মাঝে মাঝে বিদ্যুতের কারণে কিছুটা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অপরদিকে লোকসান ঠেকাতে আগামী বোরো ক্রয় মৌসুমে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার দাবী জানান তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলায় চলতি মৌসুমে চাষীদের মধ্যে বোরো চাষের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকায় কৃষকরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে উপজেলার সর্বত্র জুড়ে এখন চলছে বোরো ধান চাষাবাদের মহোৎসব। ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঠে মাঠে চলছে পানি সেচ, জমি প্রস্তুতি, বীজতলা থেকে চারা তোলা ও জমিতে চারা রোপনের ব্যস্ততা।
কাশিয়াগাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল ওহাব (৬০) বলেন, গভীর নলকূপ দিয়ে আমাদের চাষাবাদ করতে হয়। সবাই একসাথে জমি তৈরী করতে নলকূপের উপর কিছুটা চাপ পড়েছে। অপরদিকে মাঝে মাঝে বিদ্যুতের ভেলকিবাজী চলছে। দিনে বিদ্যুৎ আসা-যাওয়া করে। গভীর নলকূপ থেকে ঠিকমতো পানি না পাওয়ায় জমি প্রস্তুতি করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ঠিকমতো থাকলে সুষ্ঠু ভাবে ফসল ঘরে উঠবে।
কৃষক জাহেদুল ইসলাম(৫০) বলেন, ডিএপি ১বস্তা ৮শ’ টাকা, এমওপি ১ বস্তা ৭শ’ টাকা, ইউরিয়া ১বস্তা ৮শ’ টাকা, অন্যান্য সার বাবদ ৭শ’ টাকা, বালাইনাশক ১১শ’ টাকা, জমি চাষ ও রোপন ২ হাজার ৫শ’ টাকা, পানি সেচ ১ হাজার ৭শ’ টাকা এবং কাটা-মাড়াই প্রায় ২ হাজার ৮শ’ টাকাসহ প্রায় ১১ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা বিঘা প্রতি খরচ হয়ে থাকে। বিঘা প্রতি ফলন হয় ২২-২৫ মণ। বর্তমান বাজারে ধানের দাম ৬৫০ টাকা করে। যাদের নিজস্ব জমি তাদের কিছুটা লাভ থাকে। কিন্তু যারা বর্গাচাষী তাদের কিছুই থাকেনা।এতে করে প্রতিবছর তাদের লোকসান গুনতে হয়।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উলিপুর উপজেলায় এবার ২০হাজার ৩১১হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি-ধান ১৪ (নাড়িয়া) ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-ধান ৬৩, ব্রি-ধান ৬৪, ব্রি-ধান ৬৫, ব্রি-ধান ৬৭,ব্রি-ধান ৮১ সহ হাইব্রিড মিনিকেট ধান চাষ হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, কৃষকদেরকে আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতিসহ সকল প্রকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকলে চলতি বছর বাম্পার ফলন হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।