|| নিউজ ডেস্ক ||
শাহীন আলম ও তাঁর দরিদ্র পরিবারকে এখন সবাই চেনে। যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেট জয়ের পর পুরো গ্রামের মানুষ উচ্ছ্বসিত। যাঁরা খেলা দেখেননি, তাঁরাও শাহীনকে নিয়ে আলোচনা করছেন।
শাহীনের বাড়ি উলিপুর উপজেলার যমুনা পাইকপাড়া গ্রামে। দুই শতক জমির ওপর বাড়ি, এটাই একমাত্র সম্পদ।
জেলা শহর থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে শাহীন আলমের বাড়িতে গিয়ে তাঁর মা সাতিনা বেগমকে পাওয়া গেল। তিনি জানান, ‘খেলার আগের দিন রাইতোত রিং করি কয় মা দোয়া করিস। কাল ফাইনাল খেলা। খেলা দেখছি উয়ার বাপসহ। বারে বারে দোয়া পড়ি। যখন জিতিল, চোখ দিয়া পানি আসিল।’
শাহীনের দিনমজুর বাবা মো. সাহাদাৎ আলী বাড়িতে ছিলেন না। বিকেলে কাজ শেষে বাড়িতে যখন এলেন, তখন তাঁর হাতে–পায়ে মাটি। ছেলের কথা জানতে চাইলে বলেন, ‘রাইতোত খেলা দেখছি। আজ কামোত যাওয়ার সময় শুনি সবাই ছাওয়াক নিয়া কথা কবার নাগছে। অনেকে জিজ্ঞাসা করে শাহীন কুনদিন আসপে বাহে।’
সূত্র: প্রথম আলো