|| প্রধান প্রতিবেদক ||
উলিপুরে পল্লী বিদ্যুতের সেচপাম্প স্থাপনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার পাঁয়তারা করছেন একশ্রেনীর অসাধু কর্মকর্তা। এর প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহক সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের কেবলকৃষ্ণ গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার কেবলকৃষ্ণ গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের পুত্র আতিকুর রহমান বিধি মোতাবেক আবেদনের প্রেক্ষিতে গত বছর ৩ ডিসেম্বর সেচের অনুমোদন পান। যার অনুমোদন নং-১৩৩০। এর কিছু দিন পর একই এলাকার আব্দুর সাত্তারের পুত্র আলমগীর হোসেন কৌশলে আতিকুর রহমানের প্রস্তাবিত সেচ সংযোগের পাশেই শুধুমাত্র দাগ নং পরিবর্তন করে তার পূর্বের সেচের কাগজপত্র দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে সেচ সংযোগের জন্য উলিপুর জোনাল অফিসে আবেদন করেন। পরে তার জালিয়াতির বিষয়টি প্রকাশ হলে উলিপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের স্বাক্ষরিত একটি পত্রে ওই আবেদনটি স্থগিত করা হয়। কিন্তু রহস্যজনক কারণে কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে গত ১৪ জানুয়ারী তিনি সেচের অনুমোদন পান। যার লাইসেন্স নং ১৩৯২, জেএল নং ৩৮, খতিয়ান নং ৩৫৫, দাগ নং ৭০২। কিন্তু আলমগীর হোসেন পল্লী বিদ্যুতের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজসে উল্লেখিত জমিতে সেচ স্থাপন না করে নির্ধারিত স্থানের প্রায় ২ হাজার ৫ ’শ ফিট দুরে যা আতিকুর রহমানের প্রস্তাবিত সেচের ৬’শ ফিটের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। যা উভয় পরিবারের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি, উলিপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার এস এম নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের লোকজন জমির কাগজপত্র তেমন বোঝেনা বা জমির কাগজ পত্র প্রমাণ করা সময় সাপেক্ষ। তবে এটা পুঙ্খানুপুঙ্খু তদন্ত করব।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত করা হয়েছে। সংযোগ দেয়ার বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এখতিয়ার।