|| প্রধান প্রতিবেদক ||
উলিপুরে যৌতুকের জন্য এক মুক্তিযোদ্ধার কন্যা ৩ সন্তানের জননীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধু উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে, গত রবিবার উপজেলার ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের বাঁকারায় মধুপুর গ্রামে।
জানা গেছে, উপজেলার কিসামত মধুপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান মঞ্জু মিয়ার কন্যা মরিয়ম বেগমের সাথে পার্শ্ববর্তী বাঁকারায় মধুপুর গ্রামের উমর আলীর পুত্র মাঈদুল ইসলামের সাথে গত ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়।
ভূক্তভোগীর অভিযোগ, বিয়ের কিছুদিন পর মাঈদুল ইসলাম যৌতুকের দাবীতে মারধর করে আসত। এরপর থেকে প্রতিনিয়ত মরিয়ম বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ প্রয়োগ করেন স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ওই গৃহবধু ৪ বছর পূর্বে পোশাক কারখানায় কাজ করে ৩ লাখ টাকা দেন। কিন্তু এতেও ক্ষান্ত হয়নি স্বামী মাঈদুল। গত রবিবার দুপুরে ৫ লাখ টাকার দাবিতে নির্যাতিতার শ্বাশুড়ি যতিনা বেগম মরিয়ম বেগমকে নির্যাতন শুরু করে। এতে সহযোগিতা করেন শ্বশুর উমর আলী ও ভাসুর মুকুল মিয়া। এরই এক পর্যায়ে স্বামী মাঈদুল ইসলাম মরিয়ম বেগমের গলায় রাম দা ধরে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে মরিয়ম বেগমকে গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সূভাষ চন্দ্র সরকার জানান, আহত গৃহবধু মরিয়ম বেগম চিকিৎসাধীন রয়েছে।