।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে অবাধে ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ার হিড়িক পড়েছে। নামমাত্র টাকা দিয়ে এসব মাটি চলে যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন ইটভাটায়। সব নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এসব মাটি দিয়ে চলছে ইট তৈরির কাজ। এতে করে ফসলি জমির উত্পাদন ক্ষমতা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।
জানা গেছে, এ উপজেলায় অন্তত ২০টির বেশি বৈধ ও অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে লোকালয় ও কৃষিজমিতে গড়ে উঠেছে এসব ভাটা। এসব ভাটায় ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির (টপ সয়েল) মাটি। এতে করে আবাদি জমির পরিমাণ যেমন কমে যাচ্ছে, অন্যদিকে ভাটার ধোঁয়ায় ফসলের উত্পাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফসলি জমির ছয় থেকে আট ইঞ্চি উপরিভাগে পুষ্টি উপাদান থাকে। জমির উপরিভাগ কাটার ফলে উত্পাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়। তবে বারবার ফসলি জমির মাটি কাটলে একেবারেই উত্পাদন ক্ষমতা বন্ধ হয়ে যাবে।
সরেজমিনে উপজেলার ধামশ্রেণি বড়াইবাড়ী গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, তিনটি ট্রাক্টর দিয়ে ৯০ শতাংশ আবাদি জমিতে চলছে মাটি কাটার কাজ। এসব মাটি চলে যাচ্ছে পাশের এইচ এস ব্রিকসে।
মধুপুর, হাতিয়া, বিষ্ণুবল্লভ, আঠারপাইকা, থেতরাইসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে অর্ধশতাধিক জায়গায় দেদারছে ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ার হিড়িক পড়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন সময় কৃষকদের ফসলি জমির মাটি বিক্রি না করার পরামর্শ দিয়ে থাকি। তবে ফসলি জমির টপ সয়েল কাটার ফলে জমির উর্বরতা কমে যায়। এ জন্য জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোহেল সুলতান জুলকার নাইন বলেন, ‘ইটভাটায় ফসলি জমির মাটি কেটে নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। কেউ যদি এ রকম কাজ করে, তাহলে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সূত্রঃ kalerkantho