।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে নুরানী মাদরাসার এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষনের ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, গত বৃহস্পতিবার উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নে সোত্তারভিটা গ্রামে। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাতে ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ তিনজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষিতা ওই শিশু শিক্ষার্থী বর্তমানে গুরুত্বর অসুস্থ্য অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের শিশু শিক্ষার্থী (১২) মাদরাসায় যাতায়াতের সময় প্রতিবেশী তৈয়ব আলীর পুত্র হাফিজুর রহমান সোহেল (১৯) তাকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই শিক্ষার্থী সোহেলের বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার পার্শ্বে টিউবওয়েলে হাত পরিস্কার করার জন্য যায়। এ সময় সোহেল ওই শিক্ষার্থীর মুখ চেপে ধরে জোর করে তার শয়ন ঘরে নিয়ে ধর্ষন করে। এতে ওই শিক্ষার্থীর রক্তক্ষরণ শুরু হলে সোহেল তাকে ছেড়ে পালিয়ে যায়। এরপর ওই ছাত্রী রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়িতে এসে বিষয়টি তার মাকে জানানোর সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসে ভর্তি করায়। এ সময় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে ওই ছাত্রীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে শুক্রবার রাতেই থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সোহেলের মা সিদ্দিকা বেগম (৩৭), চাচী সেলিনা বেগম (২৫), চাচাতো ভাই সোহেল রানা বাবু (২৭) কে আটক করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ ফকরুল আলম বলেন, ওই শিশুটিকে যৌন নির্যাতন করার কারণে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ ছিল। তাই তার উন্নত চিকিৎসা ও ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পুন্ন করার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ধর্ষনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মূল আসামী হাফিজুর রহমান সোহেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।