।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও ঠান্ডা আর কুয়াশা কমছে না। দেখা মিলছে না সূর্যের। টানা চার দিন এ অবস্থা চলছে। এতে জনজীবন দুর্ভোগে পড়ার পাশাপাশি কৃষি ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। শনিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে জেলায় অবস্থিত রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।
এ অবস্থায় রবি মৌসুমের বোরো আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। বীজতলার চারাগুলো লাল বর্ণ ধারণ করতে শুরু করায় এগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই প্রতিকূল অবস্থার মধ্যেও বীজতলা রক্ষা এবং বোরো আবাদের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
সদর উপজেলার হরিকেশ, চেরেঙ্গা, পলাশবাড়ী, খলিফার মোড়, দোয়ারীর পাড়, সোবনদহ ও গৌরের খামার গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, ভোরবেলা কনকনে ঠান্ডার মধ্যে কৃষকরা বীজতলায় সেচ দিচ্ছেন, চারার মাথায় রাতে জমানো শিশির ফেলে ছাই ছিটাচ্ছেন।
খলিফার মোড় এলাকার আব্দুর রহমান (৬০) ও দোয়ারীর পাড় গ্রামের আব্দুল জব্বার (৫৫) জানান, পৌষের ১৫ থেকে মাঘের ১৫ তারিখ পর্যন্ত হচ্ছে বোরো চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। এ জন্য জমি প্রস্তুতের কাজ শুরু করছেন তারা। আর বীজতলার চারার বয়স ১৫ থেকে ২০ দিন হয়েছে। এ অবস্থায় ঠান্ডা আর কুয়াশায় বীজতলার চারা লাল বর্ণ ধারণ করেছে। সেচ দিয়ে, শিশির ফেলে এবং ছাই ছিটিয়ে বীজতলাগুলো রক্ষার চেষ্টা করছেন কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার এক লাখ ১২ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এ জন্য পাঁচ হাজার ১০০ হেক্টর বীজতলার প্রয়োজন হলেও এ পর্যন্ত সাড়ে চার হাজার হেক্টরের মতো বীজতলা তৈরি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ দপ্তরের উপপরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান জানান, শীত ও কুয়াশায় তিন-চার দিন আগে তৈরি বীজতলাগুলোর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এ জন্য বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা, সেচ দেওয়া, রাতে জমানো শিশির ফেলে দেওয়া এবং ছাই ছিটানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সূত্রঃ samakal