।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামের ওপর দিয়ে গত কয়েকদিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অতিরিক্ত ঠান্ডায় জেলায় শীতজনিত রোগ বাড়ছে।
আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান সর্দার জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে গত তিনদিনে কুড়িগ্রাম জেলার জেনারেল হাসপাতালে অর্ধশতাধিক রোগী ভর্তি হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই শিশু। গত ২৪ ঘণ্টায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অন্তত আটজন শিশু ভর্তি হয়েছে।
এছাড়া কুড়িগ্রাম জেলার জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। যাদের বেশিরভাগ শিশু ও বৃদ্ধ।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, রবিবার জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত পাঁচ দিন থেকে দিনের বেলা সূর্যের দেখা মেলেনি। এতে ঠান্ডার প্রকোপ বেড়েই চলেছে। কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে মানুষজন খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় গরম কাপড়ের অভাবে বিপাকে পড়েছেন শিশু, বৃদ্ধসহ চরাঞ্চলের মানুষেরা। এছাড়া কাজে যেতে না পারায় চরম দুর্ভোগ পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষরা।
চলমান এ শৈত্যপ্রবাহে কুড়িগ্রাম জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার, ফুলকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার প্রায় ৪০৫টি চরাঞ্চলে বেশিরভাগ মানুষ খড়-কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
জেলা প্রশাসনের ত্রাণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ৫১৪ পিস কম্বল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জেলার ৯টি উপজেলায়। নতুন করে আরো বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
সূত্রঃ unb.com.bd