।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবু তাহের জুতা পায়ে শহীদ বেদীতে উঠে বিজয় দিবসের পুষ্পার্ঘ অর্পণ করার ঘটনায় এলাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, আজ সোমবার সকালে উলিপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে। এ ঘটনায় বিক্ষুব্ধ জনতা দুপুরে ওই অধ্যক্ষকে কলেজ ক্যাম্পাসে গণ-ধোলাই দিয়েছে। তিনি বর্তমান উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মেডিকেল অফিসার জাকিয়া সুলতানা। তিনি জানান তার শরীরে কয়েক জায়গায় ফুলা ও জখমের চিহ্ন রয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুভাষ চন্দ্র সরকার বলেন তার শরীরে সামন্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৯টার দিকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবু তাহের তার সহকর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করতে যান। এসময় তিনি জুতা পায়ে পুষ্পার্ঘ হাতে নিয়ে শহীদ মিনার বেদীতে উঠেন। এসময় তার সহকর্মীরা জুতা খুলে উঠতে বললেও তিনি জুতা খুলেননি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ মোঃ আবু তাহেরের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে, তিনি জুতা পায়ে বেদীতে ওঠার কথা স্বীকার করে বলেন, অজান্তে জুতা পায়ে উঠেছি।
এদিকে, জুতা পায়ে শহীদ বেদীতে ওঠার ছবি মুহুর্তে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেলে স্থানীয় মানুষজন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
এ বিষয়ে উলিপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ সরকার ক্ষুব্দ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের অবিলম্বে অপসারণ ও বিচার দাবি করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু বলেন এই ঘটনাটির দ্বারা শহীদদের প্রতি চরম অবমাননা করা হয়েছে। আমি তার এ আচরণের নিন্দাসহ বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানাই।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এম এ মতিন বলেন যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেন না, তাদের কোনো না কোনো কর্মের মধ্য দিয়ে সেই চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।