।। নিউজ ডেস্ক ।।
হিমালয়ের কোলঘেঁষা সীমান্তবর্তী উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামে ভোরবেলা কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। এতে শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে জেলার ৯ উপজেলার মানুষকে। প্রতি বছর অগ্রহায়ন মাসের প্রথম সপ্তাহে এ জেলায় শীতের আগমন ঘটলেও এবার কার্তিক মাসের শেষ প্রথম সপ্তাহে শুরু হয়েছে শীত। ভোরবেলা পড়তে শুরু হয়েছে কুয়াশা।
স্থানীয়রা বলছে, হিমালয় থেকে আসা ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে এ বছর দ্রুত শীত শীত অনুভব হচ্ছে। দিনের বেলা বেশ গরম থাকলেও সন্ধ্যা নামার পর থেকেই কুয়াশা পড়তে শুরু করে।
রাতভর হালকা বৃষ্টির মত টুপটুপ করে কুয়াশা ঝরতে থাকে। বিশেষ করে ধানের শীষে কুয়াশা বিন্দু বিন্দু জমতে দেখা যায়। সকালে যারা ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটাচলা করেন কুয়াশার কারণে তাদের কাপড় ভিজে যায়।
আজ বুধবার ভোরবেলা দেখা গেছে, হালকা কুয়াশায় ঢেকে গেছে রাস্তা-ঘাট। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা বাস-ট্রাকগুলো গুলো হেডলাইট চালিয়ে রাস্তায় চলাচল করছে। অনেকেই হালকা গরম কাপড় গায়ে দিয়ে নিজ নিজ কাজে বের হচ্ছেন। দোকানদার সমির হোসেন জানান, দুদিন থেকে মোটরসাইকেলে ভোরবেলা দোকানে আসার সময় শীত শীত লাগছে। এর ফলে হালকা গরম কাপড় গায়ে দিয়ে দোকানে আসছেন তিনি।
তবে শীতের আগমন ঘটলেও লেপ তোসকের দোকানগুলোতে এখন পর্যন্ত ক্রেতাদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়নি। অনেক গরম কাপড় ব্যবসায়ী বলছেন শীতের লেপ-তোসক বানানেরা কাগজ শুরু হতে আরও ২০-২৫ দিন লাগবে।
এদিকে কুড়িগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ঢাকাগামী এক যাত্রী জানান, “গত বছর এমন সময়ে কোন কুয়াশা লক্ষ্য করিনি। এ বছর দুদিন ধরে সকালে বাইক নিয়ে বের হবার সময় হেডলাইড জ্বালিয়ে রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে। তাছাড়া হালকা বাতাসের কারণে ঠান্ডাও অনুভুত হচ্ছে।”পুরাতন জিয়া বাজারের সবজি চাষি আলতাফ আলী বলেন, হালকা শীতের কারণে ফসলে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস আক্রমণ শুরু করে। এতে ফসলে কীটনাশক প্রয়োগ করতে। উৎপাদন খরচও বেড়ে যায়।
সূত্রঃ bartabazar