॥ আব্দুল মালেক ॥
উলিপুরে ৫ সন্তানের জনক প্রধান শিক্ষকের সাথে ৫ম বারের মত বিয়ের পিড়িতে বসলেন একই স্কুলের এক সহকারী শিক্ষিকা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদুল্ল্যা ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। সহকারী শিক্ষিকার এ ধরনের কার্যকলাপে ক্ষিপ্ত হয়ে তার কলেজ পড়ুয়া পুত্র সহপাঠিদের নিয়ে প্রধান শিক্ষককে স্কুল থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সাদুল্ল্যা ২নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাইনুল ইসলাম সম্প্রতি বদলী হয়ে এসে একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা হালিমা খাতুনের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। বিদ্যালয় চলাকালীন সময় তাদের অনৈতিক কর্মকান্ড দৃষ্টিগোচর হলে স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবক মহল কিছুদিন আগে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ভৎর্সনা করেন। সে সময় বিদ্যালয়ের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে বৈঠকে তাদের উভয়কে প্রত্যাহারের দাবী উঠে। কিন্তু প্রত্যাহারের আগেই গত রবিবার রাতে গোপনে ঐ শিক্ষিকা ৫ম বারের মত বিয়ের পিড়িতে বসেন ওই প্রধান শিক্ষকের সাথে। সোমবার সকালে বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষকের কর্মকান্ডে বিক্ষুব্ধ হয়ে বিদ্যালয়ে তালা লাগানোর চেষ্টা করে। এসময় ওই শিক্ষিকার কলেজ পড়ুয়া পুত্র মায়ের অনৈতিক কার্যকলাপে ক্ষিপ্ত হয়ে সহপাঠীদের নিয়ে ওই প্রধান শিক্ষককে তুলে নিয়ে যায়। এদিকে ওই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সোলায়মান মিয়া বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন।
উল্লেখ্য, ওই সহকারী শিক্ষিকা হালিমা খাতুনের প্রথম বিয়ে ভেঙ্গে গেলে দ্বিতীয় বিয়ে করেন উপজেলার তবকপুর ইউনিয়নের জনৈক ব্যক্তিকে। তার সাথে নানা কারণে অমিল হলে তিন দফা তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। কিন্তু তিনবারই তারা পূনরায় বিয়ে করেন। সর্বশেষ তিনি গত রবিবার রাতে একই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের প্রেমে মগ্ন হয়ে ৫ম বারের মত বিয়ের পিড়িতে বসলেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক শাহ্ বলেন, বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার বিষয়টি শুনেছি।