।। নিউজ ডেস্ক ।।
রৌমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদের একটি কাশবন থেকে মমতাজ আক্তার জেমি (১৪) নামে অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর হাত ও মুখ বাঁধা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিখোঁজ হওয়ার চারদিন পর তাঁর লাশ উদ্ধার করা হলো।
গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের দুর্গম ঘুঘুমারির চরের একটি কাশবন থেকে হাত-মুখ বাঁধা অবস্থায় জেমির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পাখিউড়া দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জেমি রৌমারী উপজেলার চর শৌলমারী ইউনিয়নের শাহ আলম মোল্লার মেয়ে। মায়ের মৃত্যুর পর থেকেই সে একই ইউনিয়নের সুখের চর গ্রামে নানার বাড়িতে থাকতো। গত ১৬ অক্টোবর স্কুলের পরীক্ষা শেষে সে আর বাড়িতে ফেরেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে বাড়ি থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে সুখের চর গ্রামের একটি কাশবনের কাছে জেমির বই ও পায়ের স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখে কয়েকজন শিক্ষার্থী। এরপর তারা বাড়িতে খবর দিলে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা মিলে খোঁজাখুঁজি করে কাশবনের ভেতর ওড়না দিয়ে পেছন থেকে হাত ও মুখ বাঁধা অবস্থায় তার মরদেহ পায়।
রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো. দিলওয়ার হাসান ইনাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। খবর পেয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নেয় পুলিশ।
পুলিশ বলছে, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে হত্যার আগে ধর্ষণ করা হয়েছে কি না, তা ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার আগ পর্যন্ত বলা সম্ভব নয়।
সূত্রঃ kalerkantho