।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের ৩ কিলোমিটার জুড়ে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও মাত্র ৬৫ মিটার রক্ষায় প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ হাজার বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ফেলছে পাউবো। স্থানীয়দের অভিযোগ সরকারের অর্থ অপচয় হলেও তা ভাঙন রক্ষায় কোন কাজে আসবে না। গত ২০ সেপ্টেম্বর শুক্রবার পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন কালে পাউবো কর্তৃপক্ষকে ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দিলে এ উদ্যোগ নেয়া হয়।
জানা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের পালের ভিটা, নয়াডারা, কামারটারী ও দাগারকুটিতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে গত ৩ মাসের ব্যবধানে ৫ শতাধিক বাড়ি-ঘর ও কয়েক শ একর অবাদি জমি নদী গর্ভে চলে যায়। পাউবো ভাঙন রোধে কোন পদক্ষেপ না নিলেও প্রতিমন্ত্রীর নির্দেশে নড়েচড়ে বসেন। সে মোতাবেক গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ভাঙন কবলিত প্রায় ৩ কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র ৬৫ মিটার স্থানে ৬ হাজার বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন করেন কুড়িগ্রাম-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক এমএ মতিন। পাউবো কর্তৃপক্ষের ভাঙন রোধের এমন হাস্যকর উদ্যোগে ক্ষুব্ধ ব্রহ্মপুত্র পাড়ের মানুষজন।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয়, পালের ভিটা গ্রামের ছপিয়াল হকের সাথে। তিনি বলেন, ‘তোমরায় কন, কোতদুর ভাংবের নাগছে, আর ওমরা অলপে এখনাত বস্তা ফেলায়। খালি বস্তাগুলা নদীত ভাসি যাইবে বাহে। কামের কাম কিছুই হবার নয়’। ওই গ্রামের ভবেশ পাল, প্রফুল্ল পাল, মোজাহার আলী, ইদ্রিস আলীসহ অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এ কাজ ভাঙন রোধে কোন কাজে আসবে না। আমাদের সাথে তামাশা করা হচ্ছে।
হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, ভাঙন কবলিত ৩ কিঃমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও বালু ভর্তি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে মাত্র ৬৫ মিটারে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মহোদয় ভাঙন রোধের নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর করছে না পাউবো।
উলিপুর পাউবো’র উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ৬৫ মিটার প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ হাজার জিও টেক্সটাইল ডাম্পিং করা হচেছ। পরবর্তীতে প্রকল্প পাওয়া গেলে বাকি এলাকায় ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।