।। আব্দুল মালেক ।।
প্রতিবন্ধী হায়দার আলী নিজে চলেন ক্রাচে ভর দিয়ে ও হুইল চেয়ারে। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা ও ফেসবুকে এক প্রতিবন্ধীর খবর দেখতে পেয়ে তার চেয়ারটি দেয়ার ইচ্ছে পোষণ করেন সাংবাদিকদের কাছে। পরে জানতে পারেন প্রতিবন্ধী ছেলেটিকে হুইল চেয়ার দিয়েছে অন্য আর এক সুহৃদ। পরে চায়না বেগম চলতে পারেন না জানতে পেরে নিজের হুইল চেয়ারটি তাকে দিয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন। আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে উলিপুর প্রেসক্লাবে এসে প্রতিবন্ধী চায়নাকে হুইল চেয়ারটি দিয়ে নিজেও হাসলেন, তাকেও হাসালেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উলিপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সরদার, সাংবাদিক পরিমল মজুমদার, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা অলক কুমার দেব, সাংবাদিক আব্দুল মালেক, খালেক পারভেজ লালু প্রমুখ।
চায়না বেগম জন্মের পর থেকে দুটি পা চিকন হওয়ায় হাটতে পারেন না। এমন খবর পাওয়ার পর প্রতিবন্ধী হায়দার আলী তার হুইল চেয়ারটি তাকে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। চায়না বেগম উলিপুর পৌরসভার পশ্চিম শিববাড়ি গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের কন্যা। হুইল চেয়ার পেয়ে কেমন লাগছে জিজ্ঞাসা করতেই হেসে উঠেন। তারপর তাকিয়ে দেখেন হুইল চেয়ারটির দিকে। ভালো লাগার পরশ যেন মুহূর্তেই ছুঁয়ে যায় তার চোখেমুখে। প্রতিবন্ধী হায়দার আলী বলেন, আর একজন প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে তার মুখে হাসি ফোটাতে পেরে ভাল লাগছে। নিজেকে অসহায় প্রতিবন্ধী মনে হচ্ছে না। উপস্থিত সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে খুশির ঝিলিক।