।। নিউজ ডেস্ক ।।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ‘বিশেষ সুবিধা’ প্রদান করবে কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইন ঢাকা (কেএসডব্লিউএডি)। শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার সুবিধার জন্য ২০০১ সাল থেকে প্রতিবছর কুড়িগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইন ঢাকা (কেএসডব্লিউএডি) থেকে নানা আয়োজন করা হয়। প্রতি বছরের মতো এবারও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা, পরীক্ষা কেন্দ্রে পরিচিতির জন্য দিকনির্দেশক চিহ্ন ও সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, কলম ও আনুষঙ্গিক শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত অথচ পরীক্ষা কেন্দ্রে নেয়ার অনুপযোগী জিনিসপত্র রাখার ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন পয়েন্টে স্থায়ী তথ্যকেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করা এবং ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আগত অভিভাবকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা করা এবং যেকোনো প্রয়োজনে তাৎক্ষণিক সেবা প্রদানের ব্যবস্থা করবে এ সংগঠনটির শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোট পাঁচটি হেল্পডেস্কে সার্বক্ষণিক সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত থাকবে কেএসডব্লিউএডি। সহযোগিতায় সার্বিক রূপকল্পসহ ভালোবাসার ডালি নিয়ে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের বরণ করতে প্রস্তুত কেএসডব্লিউএডি।
সংগঠটির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ ইসিয়াম বলেন, “কুড়িগ্রামের ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য সবসময় কেএসডব্লিউএডি ভালোবাসার পসরা সাজিয়ে বসে আছে। প্রতিবছরের মতো এবারও ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকবে কেএসডব্লিউএডি”।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর ‘গ’ ইউনিট দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়। ২০ সেপ্টেম্বর ‘ক’ ইউনিট, ২১ সেপ্টেম্বর ‘খ’ ইউনিট এবং ২৭ সেপ্টেম্বর ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ‘চ’ ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান অংশের পরীক্ষা আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর এবং অঙ্কন অংশের পরীক্ষা ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখ্য যে, এ বছর পাঁচটি ইউনিটে মোট সাত হাজার ১১৮ আসনের বিপরীতে দুই লাখ ৭৬ হাজার ৩৯১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদন করেছেন। এ হিসাবে প্রতি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৩৯ জন শিক্ষার্থী। এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ‘চ’ ইউনিটে এবং কম ‘খ’ ইউনিটে।
বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের এক হাজার ৭৯৫টি আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৮৮ হাজার ৯৭০ জন। এই ইউনিটে প্রতি আসনে লড়বেন ৪৯ জন। কলা অনুষদভুক্ত ‘খ’ ইউনিটের দুই হাজার ৩৭৮ আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৪৫ হাজার তিনজন, প্রতি আসনে লড়বেন ১৮ জন।
ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদভুক্ত ‘গ’ ইউনিটে এক হাজার ২৫০ আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ২৮ হাজার ৯৫৮ জন। এই ইউনিটে প্রতি আসনে লড়বেন ২৩ জন। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ঘ’ ইউনিটের এক হাজার ৫৬০ আসনের জন্য ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন ৯৭ হাজার ৪৬৪ জন। প্রতি আসনে লড়বেন ৬২ জন।
চারুকলা অনুষদের ‘চ’ ইউনিটে ১৩৫ আসনের জন্য ১৫ হাজার ৯৯৬ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। ‘চ’ ইউনিটে প্রতি আসনের জন্য ১১৮ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
এবার প্রথম ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের এমসিকিউ পরীক্ষার পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে এমসিকিউয়ের জন্য থাকবে ৭৫ নম্বর ও লিখিত পরীক্ষার জন্য থাকবে ৪৫ নম্বর।
৯০ মিনিটের পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশের জন্য শিক্ষার্থীরা সময় পাবেন ৫০ মিনিট ও লিখিত পরীক্ষার জন্য ৪০ মিনিট। তবে ‘চ’ ইউনিটে ৫০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষার জন্য এক ঘণ্টা এবং ৭০ নম্বরের অঙ্কন পরীক্ষায় ৯০ মিনিট সময় পাবেন পরীক্ষার্থীরা।