।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামের চিলমারীর ভাসমান তেল ডিপো যমুনা ও মেঘনা তিন মাস ধরে তেল শূন্য থাকার পর মেঘনা তেল ডিপোতে তেল আসলেও অজ্ঞাত কারণে যমুনা তেল ডিপোটি তেল শূন্য রয়ে গেছে। তেল আসার পর রোববার প্রথম দিনেই বিক্রি হয় ১ লাখ ৬ হাজার লিটার তেল।
মেসার্স জয়নাল এন্ড ব্রাদার্স এজেন্টের স্বত্বাধিকারী মো. জয়নাল আবেদীন জানান, এ অঞ্চলে সেচ মৌসুম ছাড়াও প্রচুর তেলের চাহিদা রয়েছে। ভাসমান তেল ডিপো দুটিতে নিরবিচ্ছিন্ন তেল সরবরাহ করা উচিত।
যমুনা ওয়েল কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাফাজ্জল হোসেন বলেন, তেল সরবরাহের বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। শিগগিরই সমাধান হবে।
মেঘনা তেল ডিপোর ডিপো সুপার মো. আবু সাইদ বলেন, প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি কার্যক্রম ঠিক রাখতে চিলমারী ডিপো নির্ভর তেলের বাজারটি টিকে রাখা উচিত।
উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভাসমান তেল ডিপো পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা তিনটি কোম্পানি তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এখান থেকে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর ও লালমনিরহাট জেলায় তেল সরবরাহ করা হয়। কয়েক বছরের মাথায় পদ্মা তেল কোম্পানিটি মেরামতের অজুহাত দেখিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। এরপর থেকেই মেঘনা ও যমুনা ওয়েল কোম্পানি দুটি এ অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে তেল সরবরাহ করে আসছে।
সূত্রঃ samakal