।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে নিজস্ব লোকের নাম তালিকাভুক্ত করে ত্রাণের ঢেউটিন তুলে বাড়ি নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে এক নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঘর হতদরিদ্রের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামে।
জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মর্জিনা বেগম হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ত্রাণের টিন দিয়ে প্রায় ৩২ হাত একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন। তবে ওই ইউপি সদস্যের দাবি তিনি টাকা দিয়ে ত্রাণের টিন কিনে বসত ঘর নির্মাণ করেছেন।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য তার নিজস্ব লোকের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ঢেউটিন বরাদ্দ নেন। পরে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের হাতে বরাদ্দের আংশিক টাকা তুলে দিয়ে অবশিষ্ট টাকা ও ঢেউটিন নিজের হেফাজতে রাখেন। পরবর্তীতে ওইসব ত্রাণের টিন দিয়ে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্য মর্জিনা বেগম তার নিজের বাড়িতে প্রায় ৩২ হাত একটি টিনশেড ঘর নির্মাণ করেন। তার এমন অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে প্রকৃত হতদরিদ্র পরিবারগুলো সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার এলাকায় জনমনে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়।
এ বিষয়ে মর্জিনা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি ত্রাণের টিন দিয়ে ঘর তোলার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ৩ জনের কাছ থেকে ৫ বান্ডিল টিন সাড়ে ৪ হাজার টাকা দরে কিনে নিয়েছি। যাদের কাছ থেকে কিনে নিয়েছেন তাদের নাম জানতে চাইলে তাদের নাম প্রকাশে অপারগতা জানান তিনি।
হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এগুলো সেনাবাহিনী কর্তৃক দেয়া ত্রাণের টিন। শুধু মর্জিনা নয় আরও ২ থেকে ৩ জন ইউপি সদস্য কৌশলে ওইসব টিন আত্মসাৎ করেন। ঘটনাটি ওই সময় তদন্ত করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করেও তদন্ত হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সিরাজউদ্দৌলা বলেন, ওই ইউপি সদস্য যদি ত্রানের টিন দিয়ে ঘর নির্মাণ করে থাকেন তাহলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।