।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে বানভাসিদের উপর চলছে এনজিওদের কিস্তির টাকা আদায়ে জোড় জুলুম। এ যেন মরার উপর খরার ঘাঁ। এনজিও কর্মীদের ভয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে ছেড়ে পুরুষরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে বলে বানভাসিদের অভিযোগ।
গত রবিবার (২১ জুলাই) হাতিয়া ইউনিয়নের অনন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেল ব্র্যাক মন্ডলের হাট শাখার মাঠকর্মী জয়শ্রী রানী বানভাসি মানুষের কাছ থেকে জোর করে ঋণের কিস্তির টাকা আদায় করছে। আমাদের পরিচয় পাওয়ার পর তাড়াহুড়া করে ওই মাঠকর্মী শটকে পড়ার জন্য তড়িঘড়ি করে নৌকায় চড়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। এ সময় তার কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার চিঠি দিয়ে বন্যা চলাকালীন বানভাসিদের কাছ থেকে ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কেন আপনি কিস্তি আদায় করছেন জবাবে তিনি বলেন, আমরা কোন চিঠি পাইনি।
এ কথা শুনে বানভাসিরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমাদের জীবন বাঁচে না। তার উপর ওরা টাকার জন্য চাপ দিচ্ছে। ওদের ভয়ে অনেক পুরুষ আশ্রয় কেন্দ্রে ছেড়ে দিনে পালিয়ে থাকে বলে জানান। বানভাসিরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলে ওই মাঠকর্মী পালিয়ে যায়। এ সময় ঋণ গ্রহিতা মরিয়ম বেগম (৪১), কার্ত্তিক চন্দ্র (৫২) ও রেহানা (৩০) জানায় ওই মাঠকর্মী তাদের কাছ থেকে জোর করে কিস্তির টাকা আদায় করেছে।
হাতিয়া ইউপি চেয়ারম্যান বি এম আবুল হোসেন জানান, এনজিওদের এ ব্যাপারে চিঠি এবং মৌখিক ভাবে জানানো হলেও তারা তা মানছে না।
এ ব্যাপারে ব্র্যাক মন্ডলের হাট শাখা ব্যবস্থাপক প্রদীপ কুমার রায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, এখন ও চিঠি পাইনি তবে নিবার্হী অফিসারের এ সংক্রান্ত একটি ম্যাসেজ পেয়েছি, আর কর্মীরা মাঠে যাবে না বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদেরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ ব্যাপারে এনজিও গুলোকে সতর্ক করে কিস্তি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। নিদের্শ অমান্য করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।