।।। নিউজ ডেস্ক ।।
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি কমতে শুরু করলেও টানা ৯ দিন ধরে পানিবন্দি মানুষ রয়েছে চরম দুর্ভোগে। বানভাসিদের জন্য অপ্রতুল ত্রাণের কারণে হাহাকার দেখা দিয়েছে। সীমিত আকারে ত্রাণ শুরু হলেও বন্যার্তদের অভিযোগ তাদের কাছে সাহায্য পৌছায়নি।
ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি এখনো বিপদসীমার অনেক ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বন্যায় পানিতে ডুবে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গেল ৯ দিনে ১৫ জনের মৃত্যু হলো।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত বন্যায় ৫৬টি ইউনিয়নের ৫৭৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে সাড়ে ৮ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৯ ঘরবাড়ি। বন্যায় ৩২ কিলোমিটার বাঁধ, ৭২ কিলোমিটার কাচা ও ১৬ কিলোমিটার পাকা রাস্তা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। বন্যার ফলে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ১৫ হাজার ১৬০ হেক্টর। বন্যার কারণে এখন পর্যন্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২৮টি, মাদরাসা ৭০টি, মহাবিদ্যালয় ১৭টি এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪০টি বন্ধ হয়ে গেছে। ১ হাজার ২৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে পানিতে তলিয়ে গেছে ৫৩৬টি।
কুড়িগ্রামের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান জানান, বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এ পর্যন্ত জেলা প্রশাসন থেকে ৮০০ মেট্রিক টন জিআর চাল, ১৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ঈদুল আজহা উপলক্ষে ৬ হাজার ৪২৮ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।