।। নিউজ ডেস্ক ।।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। বন্যায় সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বসতভিটায় পানি ঢুকে পড়ায় বাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি ৯ উপজেলার ৩৮৪ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, সোমবার সকালে ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার এবং ব্রহ্মপুত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দু’দিন পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শহিদুল ইসলাম জানান, বন্যার পানি প্রবেশের কারণে কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী ও উলিপুর উপজেলায় সর্বাধিক সংখ্যক প্রাথমিক বিদ্যালয় পাঠদানের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই দুই উপজেলায় যথাক্রমে ৫৬ ও ৫১টি করে বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে।
অন্যদিকে সদর উপজেলায় ৩৫টি, ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় ১১টি, নাগেশ্বরী উপজেলায় ৩৪টি, ফুলবাড়ী উপজেলায় ৮টি, রাজারহাট উপজেলায় ৬টি, রৌমারী উপজেলায় ৩৮টি এবং রাজীবপুর উপজেলায় ৩৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় সাময়িকভাবে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাতটি বিদ্যালয় এবং নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বন্যার পানি প্রবেশ করায় যেসব বিদ্যালয়ে পাঠদান স্থগিত করা হয়েছে, পানি নেমে গেলে এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান পুষিয়ে নিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সূত্রঃ banglatribune