|| আব্দুল মালেক ||
উলিপুরে তিস্তা, ধরলা ও ব্রহ্মপূত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় বন্যা দূর্গত মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠেছে। উপজেলার নাগড়াকুড়ায় প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা নদীর বাম তীর রক্ষায় নির্মিত টি-বাঁধটির ১৫০ মিটার ধ্বসে গেছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও টেক্সটাইল ব্যাগে বালু ভর্তি করে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছেন। বাঁধটি ভেঙ্গে গেলে পাশ্ববর্তি কয়েকটি গ্রামে শত শত বাড়ি-ঘর ও আবাদি জমি ভাঙ্গনের হুমকির মুখে পড়বে। সরকারী ভাবে এখন পর্যন্ত ত্রাণসামগ্রী দূর্গত মানুষের মাঝে না পৌঁছায় চরম দূর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন বন্যা কবলিত মানুষজন।
সরেজমিন রবিবার দুপুরে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া টি-বাঁধে গিয়ে দেখা যায়, পানির প্রবল স্রোতে বাঁধটির বিশাল অংশ ধ্বসে গেছে। এলাকাবাসীর আশংকা, যেকোন মহুর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারে বাঁধটি। স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি লাখ লাখ টাকা ব্যয় করে অপরিকল্পিতভাবে বাঁধটি সংস্কার করা হয়। কুড়িগ্রাম পাউবো’র উপসহকারী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, বালু ভতি জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করে বাঁদটি রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।
থেতরাই ইউপি চেয়ারম্যন আইয়ুব আলী সরকার বলেন, রামনিয়াসা, চর রামনিয়াসা, চর গোড়াইপিয়ার, জোয়ান সাতার, খারিজা নাটসালা চর হোকডাঙ্গা গ্রামের প্রায় ৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে। তবে সরকারীভাবে এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ সামগ্রি পৌঁছায়নি। বন্যা দূর্গতরা নানামূখি সমস্যা পড়েছে।
এদিকে,ব্রহ্মপূত্র নদের পানি চিলমারী পয়েন্টে ৭৫ সেঃমিটার, ধরলা নদীর পানি ৭৯ সেঃমিটার ও তিস্তা নদীর পানি ১৯ সেঃমিটার বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদী উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের নতুন নতুন বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।