।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে ব্রহ্মপূত্র ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদ অববাহিকার ৮ ইউনিয়নের ৪৯টি গ্রামের প্রায় ১১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সেইসাথে আমন বীজতলা, পাটক্ষেতসহ শাকসবজি পানির নীচে তলিয়ে গেছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেল ৫টা পর্যন্ত তিস্তা পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী পয়েন্টে বিপদ সীমার ৬ সেঃ মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেইসাথে তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অব্যাহত ভাঙনে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে অর্ধশতাধিক বাড়ি নদী গর্ভে চলে গেছে। দলদলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিয়ার রহমান মুন্সি জানান, তিস্তা অববাহিকার চর কর্পূরা, চর মহাদেবসহ ৫ গ্রামের প্রায় ১ হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। সরকারিভাবে এসব মানুষের জন্য এখনও কোন ত্রাণ সামগ্রী দেয়া হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্র জানায়, তিস্তা অববাহিকার থেতরাই ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের ১ হাজার ৫ শত, গুনাইগাছ ইউনিয়নের ৪ টি গ্রামের ৬ শত, বজরা ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের ২ হাজার ১ শত ও ব্রহ্মপুত্র নদ বিচ্ছিন্ন সাহেবের আলগা ইউনিয়নের ১৩ টি গ্রামের ২ হাজার ৫ শত, বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৯টি গ্রামের ১ হাজার ২ শত , হাতিয়া ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের প্রায় ১ হাজার, বুড়াবুড়ি ই্উনিয়নের ৪ টি গ্রামের ১ হাজার ৪ শতসহ মোট ১১ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব পানিবন্দি মানুষের জন্য সরকারি ভাবে ১০ মে.টন জিআর চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, বন্যা দুর্গত মানুষের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।