।। নিউজ ডেস্ক ।।
বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আপ্তাবগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূর্বদিকে ছকর উদ্দিনের বাড়ি থেকে মিয়াজীপাড়াগামী রাস্তাটি ভেঙ্গে পানির সাথে মিশে গেছে। এলাকাবাসীর নিজস্ব উদ্যোগে নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার হচ্ছেন পথচারীরা। ছাত্রছাত্রীসহ এলাকাবাসী দৈনন্দিন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহালেও দেখার যেন কেউ নেই।
দীর্ঘদিন সেতু না হওয়ায় অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শুধু নির্বাচন এলেই এলাকার জনপ্রতিনিধিরা এখানে সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। ভোটে শেষ হলে তাদের আর প্রতিশ্রুতির কথা মনে থাকে না।
সরেজমিনে তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, ধরলা নদীর খেয়া ঘাট পর্যন্ত এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০ হাজার মানুষ কষ্ট করে পারাপার হচ্ছেন। ঝুঁকিপূর্ণ সাকো পার হতে প্রায়ই ঘটে ছোটবড় দূর্ঘটনা। বর্ষাকালে দূভোর্গের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। এ অবস্থায় স্কুলপড়ুয়া কোমলমতি শিশু, বয়স্ক ও মহিলারা রয়েছেন চরম ভোগান্তিতে।
স্থানীয় মেম্বার হোসেন আলী জানান, ব্রিজের আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু ফলপ্রসু কিছুই হচ্ছে না। সাবেক মেম্বার নজরুল ইসলামের আমলে ছোট একটি কালভার্ট করা হয়েছিল, কিন্তু বন্যায় ভেঙ্গে যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি এলজিইডি ব্রিজ দরকার।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরে আলম সিদ্দিকী জানান, প্রায় ১৫ বছর ধরে আমরা চরের মানুষগুলো এই ভোগান্তিতে আছি। মাননীয় এমপি ও ইউএনও মহোদয়ের সহযোগিতা চাই। আরেক বাসিন্দা ইউনুছ মুন্সী বলেন, হামাক কাইও দেকার নাই বাহে!
স্থানীয় অনেকের সন্দেহ প্রতিবছর ছোট ব্রিজ বা কালভার্টের বরাদ্দ আসলেও স্থানীয় দায়িত্বশীলদের গড়িমসিতে অথবা অর্থ আত্মসাতের ঘটনার কারণে এই দুর্দশার শেষ হচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
দীর্ঘদিন ধরে সেতু নির্মাণের দাবী জানিয়ে আসলেও বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। তাদের আশা, সরকার এই নদীর উপর একটি ব্রিজ তৈরি করে তাদের দীর্ঘদিনের দুর্দশা কমাবে।