।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২ বছর পূর্বে নির্মিত তিস্তা নদীর বাম তীর রক্ষায় একটি স্পার বাঁধ (গ্রোয়েন) ধসে যাচ্ছে। গ্রোয়েনটি রক্ষা করতে পাউবো কর্তৃপক্ষ জিও টেক্সটাইল ব্যাগে বালু ভর্তি করে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন। ফলে ১ মসজিদ ও ইউপি কার্যালয়সহ ৫ টি গ্রাম কয়েক হাজার পরিবার ভাঙনের হুমকির মুখে পড়েছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় বাঁধের নীচের মাটি সরে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে প্রায় ৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলার বজরা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর বাম তীর রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ স্পার বাঁধ (গ্রোয়েন) নির্মাণ করা হয়। গত ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে নির্মাণ কাজ শুরু হলে তা শেষ হয় ২০১৭ সালের জুন মাসে। ধীরে ধীরে বাঁধটি ভ্রমণ পিপাসু মানুষের বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়। স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ একটি প্রভাবশালী মহল স্পারবাঁধের কাছে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করায় তলদেশের মাটি সরে গিয়ে বাঁধটি হুমকির মুখে পড়ে। সম্প্রতি তিস্তা নদীর পানি আকস্মিক বৃদ্ধি পেলে গত মঙ্গলবার বাঁধটি বিশাল অংশ ধসে পড়ে। ফলে ১ টি মসজিদ ও বজরা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ চর বজরা, খামার বজরা, পূর্ব বজরা, চাঁদনি বজরা, কাশিম বাজার গ্রাম ভাঙনের হুমকির মুখে পড়ে। ঠিকাদার সাইদুল ইসলাম বলেন, গ্রোয়েনটি রক্ষায় ৫ হাজার প্লাষ্টিক বস্তা ও ৫ হাজার জিও টেক্সটাইল ব্যাগে বালু ভর্তি করে ডাম্পিং করা হবে। এখন পর্যন্ত ৭ শত ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়েছে।
বাঁধের দায়িত্বপ্রাপ্ত পাউবো’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলেন, তিস্তা নদীর ডান তীরে অন্য একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হওয়ায় পানি গতিপথ পরিবর্তন করায় গ্রোয়েনটি ভাঙনের মুখে পড়ে যায়। হঠাৎ করে ভাঙন শুরু হওয়ায় আপদকালীন প্রকল্পের মাধ্যমে ভাঙন রক্ষায় ২৫০ কেজি ওজনের জিও টেক্সটাইল ব্যাগে বালু ভর্তি করে ডাম্পিং করা হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বলেন, ভাঙন শুরু হওয়ার সাথে সাথেই গ্রোয়েনটি রক্ষায় প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দ্রুত বাঁধটির ধস রোধ করা হবে।
বজরা ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম আমিন বলেন, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোড কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার কারণে তীর রক্ষা স্পার বাঁধে ধস দেখা দিয়েছে।