।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে ঝড়ের তাণ্ডবে ১৫টি গ্রামের ২শতাধিক ঘরবাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এসব এলাকার গাছপালা উপড়ে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। ওইসব এলাকার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের ১০টি খুটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝড়ের তাণ্ডবে কৃষকের পাট ও সবজি ক্ষেতসহ প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়-ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
জানা গেছে, রবিবার রাতে উপজেলার ধরনীবাড়ী, দূর্গাপুর, তবকপুর ও ধামশ্রেনী ইউনিয়নের ১৫ টি গ্রামসহ পৌরসভার পশ্চিম শিববাড়ি, হায়াৎখা, নারিকেলবাড়ি, খালিভিটা গ্রামের উপর দিয়ে হঠাৎ প্রবল বেগে দমকা হাওয়াসহ ঝড় ও শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। ঝড়ে এসব এলাকায় ২ শতাধিক গাছ-পালা ও অর্ধশতাধিক ঘর-বাড়ি লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। এদিকে ঝড়ের তাণ্ডবে বিভিন্ন এলাকায় ১০টি বৈদ্যূতিক খুটি, ৪টি ট্রান্সমিটারসহ কয়েকটি স্থানে গাছ-পালা তারের উপর উপড়ে পরায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্থ ‘আলোর পথে’ নামের একটি এনজিও অফিসসহ বামনের হাট গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। এছাড়া ওই ইউনিয়নের কিশামত এবতেদায়ি মাদ্রসার টিনসেড ঘরসহ গাছ-পালা ভেঙ্গে গেছে।
কিশামত মধুপুর গ্রামের সহায় সম্বলহীন জেতেন্দ্র বলেন, ‘মানষের একনা জাগাত ঘর তুলি আছনং, সেকনাও গেল। এ্যলা মুই ছাওয়া-পোয়া নিয়ে কনটে থাকিম’। একই কথা বলেন, ওই গ্রামের হতদরিদ্র সন্তোষ বর্মন। তিনিও নিজের মাত্র তিন শতক ভিটেমাটির উপর টিনের ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করে আসছিলেন। ঝড়ের তান্ডবে শেষ আশ্রয়স্থলটিও লন্ডভন্ড হয়ে যায়।
কুড়িগ্রাম-লালমনির হাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির উলিপুর জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার কাজি জসিম উদ্দিন জানান, এসব এলাকার ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ খুটি ও ট্রান্সমিটার মেরামতের কাজ চলছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদেরকে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা দ্রুত জমা দিতে বলা হয়েছে।