|| আব্দুল মালেক ||
উলিপুরে ২২০ বস্তা ভিজিএফ’র চালসহ ৮৯৮ বস্তা চাল কালোবাজারে পাচার করার সময় জব্দ করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ট্রাক ড্রাইভারসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। চাল আটকের ঘটনায় উপজেলা সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার দুপুরে দায়িত্বরত পুলিশের সন্দেহ হলে পৌর শহরের পেট্রোলপাম্প এলাকায় ঢাকা মেট্রো-ট ১১-১১৭৬ একটি ট্রাক ভর্তি ৬৭৮ চাল আটক করে। পুলিশ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে ড্রাইভার পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়। পরে থানা অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনাস্থল থেকে ৬৭৮ বস্তা চালসহ ট্রাকটি থানায় নিয়ে আসেন। ঘটনার কিছুক্ষনের মধ্যেই শহরের মসজিদুল হুদা মোড় থেকে ট্রলি ভর্তি আরও ২২০ বস্তা ভিজিএফ’র চাল আটক করা হয়। এসময় বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় পুলিশ ট্রলি বোঝাই ২২০ বস্তা চাল থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় ট্রাক ড্রাইভার নজরুল ইসলাম (৩৫), ট্রলি ড্রাইভার শাহাদৎ হোসেন (২২) ও ট্রাকের হেলপার আব্দুস ছালাম (৫৫) কে আটক করা হয়েছে। এসময় ট্রলির হেলপার পালিয়ে যায়।
ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ৬৭৮ বস্তা প্রোগ্রামের চাল যা কুড়িগ্রাম খাদ্য গুদামে যাচ্ছিল এবং ২২০ বস্তা ধরনীবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ফুলুর নামে ভিজিএফ‘র বরাদ্দকৃত চাল।
এ ব্যাপারে ধরনীবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ফুলুর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, খাদ্য গুদামের কাগজপত্র না দেখায় ট্রাক ও ট্রলি ভর্তি ৮৯৮ বস্তা চালসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুস সালাম বলেন, আটককৃত চালের ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।