।। আব্দুল মালেক ।।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উলিপুরের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সাথে শুরু হয়েছে নদের তীব্র ভাঙন। গত এক সপ্তাহে কয়েক একর আবাদী জমি ও ভিটে মাটি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে কয়েকশ একর ফসলি জমিসহ ১৫ টি বসতবাড়ি।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার হাতিয়া ইউনিয়নের হাতিয়ার গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। সেই সাথে আবাদি জমি বসতভিটা ব্রহ্মপুত্রের গর্ভে বিলীন হচ্ছে। তাছাড়া কয়েকশ একর ফসলি জমি ও ১৫ টি বসতবাড়ি হুমকির মুখে রয়েছে। এসব ভিটেমাটি যে কোন মূহুর্তে নদীর পেটে চলে যাওয়ার আশংকা স্থানীয়দের।
বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কথা হয় ওই এলাকার বাসিন্দা আব্দুল ছামাদের সাথে তিনি বলেন, কয়েকদিনের নদী ভাঙনে আমার ভিটে মাটিসহ এক একর ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। এছাড়াও আবুল হোসেন ,আব্দুল কাদের, মান্নার মিয়া, রহিম বাদশা, তৈয়ব আলীরসহ কয়েকটি বসতভিটা ও কাশিম আলীর ২৫ শতক, খেতাব সরকারের ৮০ শতক , আইয়ুব আলীর ৩০ শতক, নুর ইসলামের ৬০ শতকসহ একাধিক কৃষকের পাটক্ষেত হুমকির মুখে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জয়নাল হক, গফুর আলী, রাজু মিয়াসহ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন “দেখতে দেখতে নদী হামার সইক ভাঙ্গি নিয়ে যাবার নাগছে। বাড়ি ঘর কখন যে ভাঙ্গি নিয়ে যাইবে, সেই চিন্তায় দিশেহারা। শেষ সম্বল বলতে হামার কিছুই থাকপের নয়”।
এদিকে থেতরাই ইউনিয়নের দালাল পাড়া এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বিএম আবুল হোসেন বিএসসি জানান, জরুরী প্রকল্পের মাধ্যমে নদীর ভাঙন রোধ করা না হলে কয়েকটি বাড়ি ও কয়েকশ আবাদী জমি নদী গর্ভে চলে যাবে। সেই সাথে হাতিয়া বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রটি ভাঙন কবলে পড়বে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের জানান, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডকে অবগত করা হবে। উলিপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, জরুরী প্রকল্পের জন্য অর্থ চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে। হাতে পেলে কাজ শুরু করব।