।। আব্দুল মালেক ।।
কেন্দ্র সচিবের দায়িত্ব অবহেলার কারণে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি (ভোকেশনাল) এর ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস ও কম্পিউটার এ্যাপ্লিকেশন বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর না দেয়ায় ৭০ জন শিক্ষার্থী ফলাফল পায়নি। ফলে এসব শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলাফল বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা উলিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে উপজেলার গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চলতি এসএসসি (ভোক) পরীক্ষায় উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল এন্ড কলেজের ২৪ জন, পাঁচপীর উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৩ জন ও গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২ জন পরীক্ষার্থীসহ একই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ের ১১ জন পরীক্ষার্থী সকল বিষয়ের তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু ফলাফল প্রকাশিত হলেও এসব পরীক্ষার্থীকে ইলেকট্রিক্যাল ওয়ার্কস ও কম্পিউটার
অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য দেখানো হয়। পরে তাৎক্ষনিক ভাবে বিষয়টি কেন্দ্র্র সচিবকে অবহিত করা হয়। ব্যবহারিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করে জানান, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে আমরা জানতে পেরেছি ওই বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র কেন্দ্র সচিব সময়মতো বোর্ডে পাঠাননি। এদিকে কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন বিষয়ের গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ১১ জন পরীক্ষার্থীর ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র বোর্ডে না পৌছানোর কারণে তাদেরও অকৃতকার্য দেখানো হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ৭০ জন পরীক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
কেন্দ্র সচিব ও গুনাইগাছ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম হোসেন জানান, আমি যথাসময়ে যথারীতি ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরপত্র প্রেরণ করেছি। কেন বোর্ড তাদের ফেল দেখালো সেটা বোর্ড কর্তৃপক্ষের বিষয়। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. সুশীল কুমার পাল জানান, আমরা চার দফা নোটিশ ও এসএমএস করে কেন্দ্র সচিবগণের কাছে নম্বরপত্র চেয়ে থাকি। কেন তিনি দেননি সে বিষয়টি উনি ভাল বলতে পারবেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্র-ছাত্রী ভবিষ্যৎ শিক্ষা জীবনের উপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা সমাধানের চেষ্টা করব।