।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে ফণী’র প্রভাবে গত দুই দিনে ঝড়-বৃষ্টিতে বোরো ধানক্ষেত নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। অনেকের আধা পাঁকা বোরো ধানক্ষেত মাটিতে পড়ে যাওয়ায় শ্রমিকের অভাবে কাটতে পারছেন না। অনেক এলাকায় কৃষকরা মহিলা শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে শুরু করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, প্রযুক্তিগত ভাবে কৃষকরা অনেক সচেতন হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি তুলনামুলক ভাবে কম হয়েছে। ফণী’র আগাম বার্তা পাওয়ায় অনেক কৃষক তাদের ক্ষেতের পাঁকা ধান কেটে নিয়েছে।
এ দিকে উপজেলার বেশির ভাগ কৃষি শ্রমিক কাজের সন্ধানে বাইরের জেলাগুলোতে যাওয়ায় একর প্রতি ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। তবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আধা পাঁকা ধানক্ষেত ঝড়-বৃষ্টির কারণে পানিতে পড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম হলেও কৃষি বিভাগের কাছে ক্ষয়ক্ষতির কোন তথ্য নেই। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, উপজেলায় চলতি বোরো মৌসুমে ২১ হাজার ৮’শ ৫০ হেক্টর জমিতে উবশি, দেশি ও হাইব্রিড জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। বেশির ভাগ জমির ধান ২-১ সপ্তাহের মধ্যে কাটামাড়াই সম্ভব হবে।
রবিবার (৫ মে) উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের উত্তর দলদলিয়া গ্রামে গিয়ে কথা হয় বর্গা চাষি শমছেল এর সাথে। তিনি বলেন, আমার ৪০ শতক জমির পাঁকা ধান ফণী’র আঘাত হানার সংবাদ পেয়ে কেটে নিয়েছি। ফলে কোন ক্ষতি হয়নি। পৌরসভার নিজাই খামার গ্রামের কৃষক আইয়ুব আলী বলেন, ফণী’র আঘাত হানার খবর জানতে পেয়ে গত শুক্রবার ১ একর জমির পাঁকা ধান কেটে বাড়ির উঠোনে এনে রেখেছি, এখন মাড়াই চলছে। রাজারাম ক্ষেত্রী গ্রামের শুকুর আলী জানান, এলাকার অনেক শ্রমিক বাইরে থাকায় শ্রমিকের অভাবে পাঁকা ধানক্ষেত এখনও কাটতে পারছিনা। উপজেলার ধরনীবাড়ি ইউনিয়নের মালতিবাড়ি গ্রামের কৃষক শাহীন, গহুরুদ্দিন, আকবর আলী,মকবুল হোসেন,আব্দুল হাকিমসহ অনেকে জানান, গত দুইদিনের ঝড়-বৃষ্টিতে ধানক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নিচু জমির ধানক্ষেত পানিতে পড়ে যাওয়ায় নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের জানান, এখন পর্যন্ত কোন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।