।। নিউজ ডেস্ক ।।
উলিপুরে সরকারি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী ওই গাছ আটক করে রেখেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজে।
কলেজের শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের ২০১৬ সালে যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। অধ্যক্ষ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে গোপনে কলেজ চত্বরে থাকা প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ৩টি রেইন্ট্রি কড়াই গাছ কেটে ফেলেন। প্রথম ধাপের উলিপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে কলেজ চত্বরে বিজিবি অবস্থান করায় ১৩ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুবাদে গত রবিবার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গাছগুলো কেটে ফেলেন। ওইদিন গাছগুলোর কিছু অংশ সরিয়ে নেওয়া হলেও আজ সোমবার দুপুরের দিকে বাকি অংশ সরানোর সময় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে তা আর সম্ভব হয়নি। গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ওই অধ্যক্ষ এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। এ ঘটনায় কলেজ চত্বরে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ও এইচএসসি পরিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম আকাশ, ওবায়দুল হক, একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী আদর সরদার, মেহেদী হাসান, ইমন সরকার, নাহিদ হাসানসহ অনেকে অভিযোগ করেন, অধ্যক্ষ স্যার কলেজে যোগদান করার পর থেকে নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মে জড়িয়ে পড়েছেন। কলেজে চত্বরে অবস্থিত নারিকেল গাছসহ বিভিন্ন ফলের গাছের ফল বিক্রয়, গাছ কেটে বিক্রয় করা, কলেজের ছাত্রাবাস বহিরাগতকে ভাড়াপ্রদানসহ বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছেন।
তারা আরো বলেন, দূর-দূরান্তের শিক্ষার্থীরা ছাত্রাবাসে থাকার সুযোগ না পেলেও কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাসটি অধ্যক্ষ স্যার উপজেলার ধামশ্রেণি ইন্দারারপাড় দাখিল মাদরাসার শিক্ষক মাও. ছবুর আলীকে ভাড়া প্রদান করেছেন।
উলিপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু তাহের গাছ কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, গাছগুলো মৃত এবং ঝঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকার কারণে সেগুলো কাটা হয়েছে। ওই গাছগুলো দিয়ে কলেজের ব্রেঞ্চ তৈরি করা হবে।
ছাত্রাবাস ভাড়া দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, সেখানে কলেজ মসজিদের ইমাম সাহেব থাকেন। গাছ কাটার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি আছে কি না তা জানতে চাইলে সদুত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, কলেজে অনেক সমস্যা, ভালো কাজ করতে গেলেই বাধা আসবে তবে এখতিয়ারের বাহিরে আমি কিছুই করিনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল কাদের বলেন, এ বিষয়ে অধ্যক্ষ সাহেবের সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে জানিয়েছেন গাছগুলোর ডালপালা ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় তা অপসারণ করা হয়েছে। সরকারি গাছ কাটতে বা অপসারণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগে।
সূত্রঃ kalerkantho