।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুরে নিখোঁজের ১৫ দিন পর মাদ্রাসা ছাত্র জোনাইদ হোসেন জনি (১৪) নিজেই বাড়ি ফিরে এসেছে। শনিবার (২৬ জানুয়ারী ২০১৯) সকালে হঠাৎ করে বাড়িতে ফিরে আসলে অন্য রকম পরিবেশের সৃষ্টি হয়। হারানো ছেলেকে ফিরে পেয়ে বাবা-মা হাউমাউ করে কেঁদে উঠেন। এ সময় আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় জমাতে থাকেন। কোথায় গিয়েছিল এমন প্রশ্নের জবাবে সে নিঃশব্দ থেকে শুধু ফ্যালফ্যাল করে সবার দিকে তাকিয়ে থাকে। তাকে খুব ক্লান্ত দেখাচ্ছিল।
জনির মা জোৎন্সা বেগম বলেন, আল্লাহ আমার সন্তান কে ফিরিয়ে দিয়েছে। আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া।
জানা গেছে, জোনাইদ হোসেন জনি উপজেলার থেতরাই তালিমুর কোরআন নূরানী ও হাফিজিয়া মাদ্রাসা যাওয়ার উদ্দ্যেশে গত ১২ জানুয়ারী শনিবার মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে বাড়ি হতে বের হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় জনির পিতা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সে মাদ্রাসায় পৌঁছায়নি। এর পর থেকে জনির পরিবার সকল আত্মীয়স্বজন ও বিভিন্ন স্থানে খোজাখুঁজির পরও তার কোন সন্ধান পায়নি। পরে ওই ছাত্রের বাবা আব্দুর বারী গত ২১ জানুয়ারী উলিপুর থানায় সাধারন ডায়েরি করেন।
ওই ছাত্র নিখোঁজের সংবাদ বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে পরদিন সান্তাহার রেলওয়ে থানার এস আই রাহুল সরকারের পরিচয় দিয়ে ০১৭০৭৭১০৮১৩ নাম্বার থেকে উলিপুর থানার ওসি‘র সঙ্গে কথা বলেন। এরপর ওসির বরাত দিয়ে এস আই রাসেল জনির বাবা-মার সাথে তার ছেলে পাওয়া গেছে মর্মে ওই নাম্বারে যোগাযোগ করতে বলেন। অভিভাবকরা ওই নাম্বারে যোগাযোগ করলে তার সন্তান অসুস্থতার কথা বলে চিকিৎসা বাবদ ডাচবাংলার ০১৭৬৮০৬৫১০৪২ নাম্বারের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা নেয়। পরে মাইক্রোবাস নিয়ে তাদের দেয়া ঠিকানা মতো সান্তাহার থানা পুলিশের কাছে গেলে প্রতারনার বিষয়টি স্পষ্ট হয়।