বাংলাদেশ যখন মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় তখনও পত্রিকার পাতায় খবর বের হয় কুড়িগ্রামে বাড়ছে দারিদ্র্যের হার। জেলার বিশিষ্টজনরা জানান, এই জনপদের পিছিয়ে পড়ার অন্যতম প্রধান কারণ দুই দশকের বেশি সময় ধরে
মন্ত্রী -বঞ্চিত এই জেলা। তাই নতুন মন্ত্রিসভায় এই জেলা থেকে অন্তত একজনকে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান এলাকার বিশিষ্টজন, পেশাজীবী সংগঠন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী এম এ মতিন ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯০ ভোট পেয়ে বিপুল ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। একজন শিক্ষানুরাগী, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে এম এ মতিনকে কুড়িগ্রামবাসী এবার মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম মঞ্জু মন্ডল বলেন, উন্নয়ন বঞ্চিত কুড়িগ্রাম জেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের লালিত স্বপ্ন এই এলাকায় একজন মন্ত্রী পাওয়া। নিশ্চয় গণমানুষের সে আশা এবার পূরণ করবেন জননেত্রী শেখ হাসিনা।
উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, উন্নয়নের ধারায় শামিল হতে এলাকার মানুষ এবার তাদের অতীতের ভুল বুঝতে পেরে কুড়িগ্রামের তিনটি আসনেই নৌকার প্রার্থীকে জয়ী করেছেন। আশা করি প্রধানমন্ত্রীও এবার এই জনপদের দিকে আরও সুনজর দিবেন। এম এ মতিন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক পরিচালক। যথেষ্ট অভিজ্ঞ ব্যক্তিত্ব। তাকে মন্ত্রী করা হলে যোগ্য ব্যক্তিকেই বেছে নেওয়া হবে।
উলিপুর ডট কমের প্রকাশক এবং সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ওএস ক্লিকসের সিইও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ রূপম রাজ্জাক বলেন, সংবিধানে নির্দিষ্ট কোনো জেলা থেকে মন্ত্রী করার বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকলেও আঞ্চলিক উন্নয়নে মন্ত্রীর ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। অথচ দুই দশকের বেশি সময় ধরে মন্ত্রী-বঞ্চিত এই জেলা। আর বঞ্চনা চাই না, দীর্ঘদিন পরে হলেও এবার এই জেলা থেকে মন্ত্রিপরিষদে সদস্য চাই।
কমিউনিটি রেডিও চিলমারী ৯৯.২ এফএম’র ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা বশির আহমেদ বলেন, উন্নয়নের তলানিতে থাকা মঙ্গাপীড়িত কুড়িগ্রাম জেলার উন্নয়নের একজন অভিভাবক জরুরি। এম এ মতিন সেক্ষেত্রে একজন যোগ্য অভিভাবক। তাকে মন্ত্রী করা হলে এতে একদিকে যেমন এলাকায় উন্নয়ন ঘটবে, অন্যদিকে দেশও অনেক উপকৃত হবে।
জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি অ্যাডভোকেট আহসান হাবিব নীলু বলেন, শিক্ষা ও অবকাঠামোসহ বিভিন্ন দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া কুড়িগ্রাম জেলাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এখানে একজন মন্ত্রী থাকা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী বীর বিক্রম বলেন, অভাবি জনপদকে উন্নয়নের ধারায় আনতে জেলায় মন্ত্রী দেওয়ার বিকল্প নাই। সেক্ষেত্রে কুড়িগ্রাম–৩ আসনের এমপি এম এ মতিন একজন সুশিক্ষিত, মানুষ গড়ার কারিগড় এবং যোগ্য ব্যক্তিত্ব।
উল্লেখ্য, গত ২০ বছরে এই জেলায় প্রায় একচ্ছত্র আধিপত্য দেখিয়েছে জাতীয় পার্টি। এবারই প্রথম এই জেলায় সর্বোচ্চ সংখ্যক ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছে। এই জেলার তিনটি আসনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীরা। তাই এলাকাবাসীর দাবি এবার মন্ত্রিপরিষদে থাকুক কুড়িগ্রামের সাংসদ।
সূত্রঃ samakal