।। নিউজ ডেস্ক ।।
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের চার আসন থেকে মোট ৫৭ জন প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে রবিবার (২ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাইবাছাইয়ের দিন বিভিন্ন অসঙ্গতি এবং ত্রুটির কারণে ১৯ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম-১ আসনে (ভুরুঙ্গামারী ও নাগেশ্বরী উপজেলা) মনোনয়নপত্র জমাদানকারী ১০ জনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনির মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয়। বাকি ৯টি মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন।
কুড়িগ্রাম-২ আসনে (সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলা) মনোনয়ন জমাদানকারী ১৫ জনের মধ্যে ৪ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এর মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চেয়ে ব্যর্থ হওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী চৌধুরী সফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু সুফিয়ান রয়েছেন। এ ছাড়া, এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী সমাধান ঐক্য পার্টির নিবন্ধন না থাকায় বাতিল হয়েছে বীরপ্রতীক আবদুল হাই সরকারের মনোনয়নপত্রটি। আর জাসদ প্রার্থী সলিমুল্লাহ ছলির সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার তিন বছর পূর্ণ না হওয়ায় তার মনোনয়নপত্রটিও বাতিল করা হয়।
কুড়িগ্রাম-৩ আসনে (উলিপুর উপজেলা) মনোনয়নপত্র জমাদানকারী ৯ জনের মধ্যে বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবদুল খালেক ঋণ খেলাপি হওয়ায় তার মনোনয়নপত্রটি বাতিল করা হয়। অপর ৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
কুড়িগ্রাম-৪ আসনের (রৌমারী, রাজীবপুর ও চিলমারী উপজেলা) দাখিল হওয়া ২৩ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাকির হোসেনের মনোনয়নপত্রটি বাতিল হয় মনোনয়ন ফরম ও হলফনামা যথাযথভাবে পূরণ না করায়। জাকের পার্টির প্রার্থী শাহ আলম তার হলফ নামায় স্বাক্ষর না করায় এবং গণফোরামের প্রার্থী মাহফুজার রহমান দলীয় মনোনয়নপত্র দাখিল না করায় তার মনোনয়নপত্রটিও বাতিল বলে ঘোষণা করা হয়। জেলার চারটি আসনের মধ্যে এই আসন থেকে সর্বোচ্চ ১১ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর যথাযথভাবে উল্লেখ না থাকায় ১০ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটানিং কর্মকর্তা।
মনোনয়ন বাতিল হওয়া স্বতন্ত্র মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন– গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকার, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফজলুল হক মণ্ডল ও অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ঈমান আলী ও শাসসুল হক মৌলভী, জাতীয় পার্টির (জাপা) বিদ্রোহী প্রার্থী অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী, জামাতের আবুল হাসেম ও মোস্তাফিজুর রহমান, আবিদ আলভী জ্যাপ ও বাবুল খান।
সূত্রঃ banglatribune