আনিকা আলম :
সঠিক যত্নের অভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে শখের শাড়িটি। জেনে নিন কোন শাড়ির যত্ন কীভাবে নেবেন।
সবচেয়ে নাজুক শাড়ি হচ্ছে শিফন শাড়ি। রোলার আয়রন ব্যবহার করবেন না, এতে শিফনের স্বাভাবিক ভাঁজ নষ্ট হয়ে যায়। সেফটিপিন ব্যবহার না করাই ভাল। ভারি এমব্রয়ডারি করা শিফন হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখবেন না, নকশার ভারে শাড়ি ছিঁড়ে যেতে পারে।
মখমলের কাপড়ে জড়িয়ে, লম্বা কাঠের লাঠিতে কোরা শাড়ি পেঁচিয়ে রাখুন। কিছুদিন পর পর ভাঁজ খুলে নতুন করে ভাঁজ করুন, যাতে ভাঁজে ভাঁজে শাড়ি ছিড়ে না যায়। এ ধরনের শাড়ি ভুলেও হ্যাঙ্গারে ঝুলিয়ে রাখবেন না।
টিস্যু শাড়ি কখনও বাসায় পরিষ্কার করতে যাবেন না। বেনারসি শাড়ির কারিগরদের হাতেই ওয়াশ করান এ ধরনের শাড়ি। সাধারণ ড্রাই ক্লিনিং করলে শাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে।
সুতি শাড়ি সাধারণ লন্ড্রিতে বা বাসায়ই পরিষ্কার করতে পারেন। কিন্তু শাড়িতে জরির কাজ থাকলে ড্রাই ওয়াশ করাই ভাল। মাড় না দিলেই শাড়ি ভালো থাকবে দীর্ঘদিন।
দামি শাড়ি মসলিন কাপড়ে মুড়িয়ে রাখুন। এতে শাড়িতে দুর্গন্ধ হয় না। ময়লা, ধুলোবালি লাগারও কোনও সুযোগ থাকে না। মেটাল হ্যাঙ্গারে শাড়ি ঝুলিয়ে রাখবেন না। এতে শাড়িতে মরচের দাগ লেগে যেতে পারে।
ভারি নকশা করা শাড়ি ভালো রাখতে সবসময় শাড়ির উল্টো দিকটা বাইরের দিকে রেখে ভাঁজ করুন।
সরাসরি সুগন্ধি লাগাবেন না শাড়িতে। স্থায়ী দাগ পড়ে যেতে পারে।
সবসময় হালকা থেকে মাঝারি তাপমাত্রায় শাড়ি ইস্ত্রি করুন। বেশি তাপ লাগলে ছাপ পড়ে যাবে।
পোকামাকড় থেকে বাঁচাতে শাড়ির আশপাশে ন্যাপথালিন বল না রেখে নিম পাতা ব্যবহার করুন।
তথ্য: নিউজ এইটিন