।। আব্দুল মালেক ।।
উলিপুর প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের গাফিলতির কারণে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দিতে পারেনি কোমলমতি ৯ শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার পান্ডুল ইউনিয়নের আমুয়ার খাতা নেছারিয়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা থেকে চলতি ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার জন্য ৯ পরীক্ষার্থী প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগে যথারীতি রেজিষ্ট্রেশন করে। সে মোতাবেক এসব কোমলমতি শিক্ষার্থী রবিবার পান্ডুল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে রোল অনুযায়ী আসনে বসে। এসময় একই রোলধারি অন্য পরীক্ষার্থী ঐ আসন দাবি করলে কর্তৃপক্ষ সাব্বির আহমেদ রোল ১২৭১, নাজমুল ইসলাম রোল ১২৭৫, রাজু মিয়া রোল ১২৭০, সিদ্দিকুল ইসলাম রোল ১২৭৭, মঞ্জুরুল ইসলাম রোল ১২৭৩, সজিব মিয়া রোল ১২৭৮ শরিফুল ইসলাম রোল ১২৭২, রায়হান রোল ১২৭৪, রাফিউল ইসলাম ১২৭৬ রোলধারি পরীক্ষার্থীকে রুম থেকে বের করে দেয়া হয়। এ অবস্থায় এসব কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ঐ মাদ্রসার প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান বলেন, সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে প্রবেশপত্র নিয়ে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে গেলে তাদের পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়নি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোজাম্মেল হক শাহ জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের চিঠি পেয়েছি, তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আব্দুল কাদের বলেন, শিক্ষা অফিসারকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তদন্ত করে প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রাথমিকের ৯ হাজার ৫০৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ৪ শত ৯১ জন এবং ইবতেদায়ী তে ১ হাজার ৪৮৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অনুপস্থিত ছিল ১৮৯ জন।