।। নিউজ ডেস্ক ।।
প্রায়ই খসে পড়ছে পলেস্তারা। বেরিয়ে এসেছে ছাদের ঢালাইয়ের রড। কক্ষের পিলারেও নেই কোনো আস্তরণ। কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার নাককাটির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এমন জরাজীর্ণ ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয় এক বছর আগে। তবে এখন পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়েই এ ভবনে পরিচালিত হচ্ছে পাঠদান কার্যক্রম।
সরেজমিন জানা গেছে, নাককাটির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিসসহ চার কক্ষবিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণ করা হয় ১৯৯৩ সালে। প্রায়
দুই বছর আগে ভবনের একটি শ্রেণীকক্ষের বিভিন্ন অংশ ধসে পড়ে। ফলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই কক্ষটি পরিত্যক্ত হিসেবে তালাবদ্ধ করে রাখে। এরপর অন্য শ্রেণীকক্ষ দুটিরও বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়তে থাকে। এ অবস্থায় এক বছর আগে উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষ পুরো ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার পাশাপাশি নতুন ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে কোনো অগ্রগতি নেই।
কথা হলে বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী স্বপন কুমার, রবিউল ইসলাম ও শারমিন আক্তার জানায়, অন্য উপায় না থাকায় তাদের ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষেই পাঠদান করা হচ্ছে। কিন্তু সবসময় তাদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করে। কখন প্লাস্টার খসে পড়ে তার কোনো ঠিক নেই।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সুলতানা পারভিন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে চায় না। তবুও সেখানেই ক্লাস করতে হচ্ছে। দেয়াল ও ছাদের প্লাস্টার প্রায়ই ধসে পড়ে। এছাড়া বর্ষাকালে কক্ষের ভেতর পানি জমে থাকে।
প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন মণ্ডল বলেন, আমরা উপায়হীন। নির্মাণকালীন নিম্নমানের ইটের ওপর নতুন প্লাস্টার করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষেই পাঠদান করতে হচ্ছে। বিষয়টি বারবার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালেও কোনো লাভ হয়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম বিদ্যালয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি ঝুঁকিপুর্ণ হিসেবে তালিকা করে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ এলে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।
সূত্র: বণিক বার্তা