লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
তেতো স্বাদ হলেও করলার জনপ্রিয়তা মোটেই কম নয়। বরং খাবার পাতে করলা রাখতে পছন্দ করেন বেশিরভাগ বাঙালিই। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট আর অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল প্রপার্টি আছে করলায়৷ যা আমাদের শরীর থেকে নানা অসুখ দূরে রাখতে সাহায্য করে।
নিয়মিত করলা খেলে রক্ত পরিশুদ্ধ থাকে। যদি ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে এক গ্লাস করলার রস খেতে পারেন, তা হলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। এই জুস আপনার শরীর থেকে সব টক্সিন বের করতে সাহায্য করবে, তাই ত্বক আর চুল হয়ে উঠবে ঝকঝকে উজ্জ্বল। বলিরেখা পড়বে না, দীর্ঘদিন তারুণ্য বজায় থাকবে।
করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি মেলে, জিঙ্ক আর বায়োটিনও থাকে অনেকটাই। ফলে আপনার চুল ক্রমশ শক্তিশালী ও মসৃণ হয়ে ওঠে৷ খুশকি কমে যায়, চুলের ডগা ফাটে না।
করলার রস আর দই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগাতে পারেন। লেবু আর করলার রসের মিশ্রণও খুব কার্যকর। মাইল্ড কোনো শ্যাম্পু দিয়ে আধ ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। যারা বছরের এই সময়টায় মূলত আবহাওয়ার কারণে ব্রণ, চুলকানি বা ফোড়ার সমস্যায় ভোগেন তারাও নিয়মিত করলার রস খেয়ে দেখতে পারেন।
প্রচুর ভিটামিন এ ও বিটা ক্যারোটিন থাকে বলে করলার রস চোখের জন্য অতি উত্তম। ডায়াবেটিস রোগীরা রোজের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই করলা রাখুন, এর পলিপেপটাইড বি আপনার সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। ভিটামিন সি বাঁচাবে ত্বকের সমস্যা থেকে।
যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন, তারা যত ইচ্ছে করলা খান। এর মধ্যে প্রচুর ফাইবার থাকে, কিন্তু কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম বলে ওজন বাড়ার আশঙ্কাও নেই। তবে খুব কড়া করে তেলে ভাজা করলা খেলে কিন্তু হবে না, সেদ্ধ বা কম তেলে রান্না করে খান।