আব্দুল মালেকঃ
বুড়িতিস্তা নদীতে জমি নেই তাদের। তবুও তারা শাকসবজির চাষাবাদ করেছেন ভাসমান পদ্ধতিতে। দেখলে মনে হবে বুড়িতিস্তা নদীতে ভাসছে শাক-সবজির ভেলা। একদিকে লাল শাকসহ বিভিন্ন জাতের শাকসবজি। অন্যদিকে ভাসছে লাউ গাছের ছাউনি। তাতে ধরেছে সারি সারি লাউ। এ যেন এক অন্য রকম দৃশ্য।
এ বছর ২ জন কৃষক উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে বুড়িতিস্তা নদীতে ভাসমান পদ্ধতিতে শাক-সবজি চাষাবাদ করছে। এতে লাভবান হয়েছেন তারা। তাদের পদ্ধতি দেখে এলাকার অনেক কৃষক ভাসমান পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে উৎসাহিত হয়েছে। অনেক কৃষক জানান, আগামীতে তারাও ভাসমান পদ্ধতিতে কীটনাশক ছাড়াই শাক-সবজি চাষাবাদ করবেন। এলাকার অনেকের মতে দখল হওয়া বুড়িতিস্তা নদীতে আগামীতে দেখা যাবে ভাসমান সবজির সারি সারি ক্ষেত।
সোমবার (১৫ অক্টোবর ২০১৮) দুপুরে বুড়িতিস্তা পাড়ে গিয়ে কথা হয়, আজাদুন্নবী ও রাশেদুজ্জামান নামে ২ জন কৃষকের সাথে। তারা জানান, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে উপজেলা সদরের অদুরে রামদাস ধনিরাম বলদী পাড়া গ্রামে বুড়িতিস্তা নদীতে ভাসমান বেডের উপর লাল শাক, করলা, বরবটি ও লাউ চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে বাজারে বিক্রিও শুরু করেছেন। কীটনাশকমুক্ত শাক-সবজি বাজারে বিক্রি করতে গেলে ক্রেতাদের আগ্রহ থাকে বেশি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় ভাসমান বেডে সবজি ও মসলা চাষ গবেষনা সম্প্রসারণ ও জনপ্রিয়করণ (ডিএই অংগ) প্রকল্প বাস্তবায়নে বুড়িতিস্তা নদীতে এ চাষাবাদ এলাকার মানুষকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অনেকে বিকেলে ক্ষেতের কাছে গিয়ে সবজি কিনতে অপেক্ষা করেন।
বর্তমানে এই প্রদর্শনী দেখে এলাকার অনেক কৃষক আগামীতে এ ভাবে গোটা বুড়িতিস্তা নদীর উপর ভাসমান বেড তৈরী করে লতা জাতীয় সবজিসহ বিভিন্ন কৃষি ফসল চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। উপজেলা কৃষি অফিসার অশোক কুমার রায় বলেন, বিনা খরচে সার কীটনাশক ছাড়াই এ ভাবে ভাসমান বেডে নানা জাতের সবজি চাষ করা হলে অল্প শ্রমে বেশী লাভবান হবেন কৃষকরা।