আব্দুল মালেকঃ
নিজের বুদ্ধিমত্তায় বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া ছাত্রী। জানা গেছে, কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ইজলামারী গ্রামের খয়রাত আলী এর কন্যা শিরিনা আক্তার সাকসেস মডেল স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী। একই এলাকার মৃত মুন্না মিয়ার পুত্র জসিম মিয়ার সাথে বিয়ের দিন ঠিক করেন বাবা ও মামা। কিন্তু শিরিনা আক্তার এ বিয়েতে রাজি হয়নি। গত বুধবার (৩ অক্টোবর ২০১৮) সকালে যথারীতি প্রতিদিনের মতো বাড়ি থেকে স্কুলে আসে সে। কিন্তু বাল্যবিয়ের বিষয়টি সে কিছুতেই মানতে পারে না। তাই হঠাৎ করেই সিদ্ধান্ত নেয় সে কোথাও চলে যাবে। প্রথমে নৌকায় করে চিলমারী উপজেলার রমনা নামক নদী ঘাটে আসে সে। এরপর জেএস করে কুড়িগ্রাম শহরে যায়। কিন্তু জেএস ড্রাইভার ভাড়া চাইলে তা পরিশোধ করতে না পারলে ড্রাইভারের সন্দেহ হয়। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, বাবা-মা বিয়ে ঠিক করেছে, কিন্তু সে বিয়েতে রাজি না। সে অনেক লেখাপড়া করতে চায়। এজন্য সে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে। পরে ঐ ড্রাইভার তাকে উলিপুরে নিয়ে এসে জেএস সমিতির সাধারণ সম্পাদকের জিম্মায় দেয়। পরে সমিতির লোকজন মেয়েটিকে থানা হেফাজতে রেখে দেন। পুলিশ মেয়েটির বাবাকে খবর দিলে বৃহস্পতিবার সকালে উলিপুর থানায় এসে বাল্যবিয়ে না দেয়ার অঙ্গীকার করে মেয়েটিকে নিয়ে যান।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন জানান, রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি জানানো হয়েছে, পরবর্তিতে মেয়ের বাবা বাল্যবিয়ের দিলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এভাবেই দুঃসাহসী এক যাত্রা করে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল শিরিন আক্তার।