আব্দুল মালেকঃ
উলিপুরে ভীমরুলের হুলে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গাভী মারা গেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে শিশুসহ ২০ গ্রামবাসী ভীমরুলের হুলে অসুস্থ্য হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার ধামশ্রেনী ইউনিয়নের পোদ্দারপাড়া গ্রামে। বর্তমানে ওই গ্রামে ভীমরুল আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে, ওই গ্রামে জাহাঙ্গীর মুন্সির পুকুর পূর্ব পাড়ে ভীমরুল বাসা বাঁধে। ধীরে ধীরে পুকুর পাড়ের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে ভীমরুল তৈরি করে দুর্ভেদ্য আস্তনা। প্রতিদিন ভীমরুল হুল ফোটাচ্ছে কোন না কোন মানুষকে। গ্রামবাসি ভীমরুলের এ ভয়ংকর আস্তানা নষ্ট করতে দারস্থ হন উলিপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগসহ বিভিন্ন দপ্তরে। কিন্তু সব দপ্তরেই তাদের হতাশ করছে। ফলে গ্রামের মানুষের এখন নির্ঘুম রাত কাটছে ভীমরুল আতঙ্কে।
পুকুর পাড় সংলগ্ন খয়রুল্লাহার পুত্র শহিদুল ইসলামের গোয়ালঘরে রাখা একটি গর্ভবতী গরুকে হুল ফোটানোর ১ দিনে মাথায় মারা যায়। ভীমরুলের হুলে শহিদুল ইসলামের স্ত্রী রাশেদা (৩০), মেয়ে রশিদা (১৩) জাহাঙ্গীর মুন্সির পূত্র মারুফ (১৪), রফিকুল ইসলামের পূত্র আলীফ (৭), রুবেল (১৬) খয়রুল্লাহার পুত্র রশিদুল (২৬), চাঁদ মিয়ার পূত্র আপেল (১৪), মোস্তাসহ ১৫/২০ আহত হওয়ার কথা জানান গ্রামের মানুষজন।
জাহাঙ্গীর মুন্সি জানান, পুকুর পাড়ে হঠাৎ করে গত কয়েকদিন আগে ভীমরুলের উড়ানো দেখে বুঝতে পারি। কিন্তু পুকুর পাড়ের অধিকাংশ স্থানে তাদের অবস্থান থাকায় স্থানীয়ভাবে সরানো যাচ্ছে না। উলিপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের সহযোগিতা চেয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে স্টেশন অফিসার ও ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর নাজমুল হাসান জানান, এ বিষয়ে অধিদপ্তরের অনুমতি না থাকায় আমাদের কিছু করার নেই। তবে স্থানীয় ভাবে রাতের বেলা কেরোসিন দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাড়ানোর পরামর্শ দেন তিনি।