আমানুর রহমান খোকন:
কুড়িগ্রামে নিবন্ধন ও লাইসেন্স ছাড়াই যুগ যুগ ধরে চলছে নামধারী আবাসিক হোটেলের কার্যক্রম। এসব হোটেলে রুম ও বেড ভাড়ার তালিকা প্রদর্শিত না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন গ্রাহক। সরকার হারাচ্ছে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব। গ্রাহকের পরিচয় গ্রহণে গাফিলতির কারণে জেলায় অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতা বেড়েই চলছে।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলা শহরে অর্ণব, স্মৃতি, নিবেদিকা ও মেহেদী, ডিকে ও ডিআর নামে আবাসিক হোটেল রয়েছে। এছাড়া কয়েক যুগ ধরে চলছে মিতা, সাগর, প্রবাসী এবং বনানী হোটেল। উপজেলা ওয়ারি নাগেশ্বরী উপজেলায় প্রান্তি, উলিপুর উপজেলায় উলি, ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সুগন্ধা, রৌমারী উপজেলায় মুন্না ও সিফাত হোটেলের কার্যক্রম চলমান আছে। রৌমারীতে প্রক্রিয়াধীন আছে হাইফাই হোটেল। এসবের মধ্যে শুধু নিবন্ধন আছে উপজেলার প্রাপ্তি, উলি, মুন্না, সিফাত ও জেলা শহরের ডিকে আবাসিক হোটেলের। নিবন্ধন ও লাইসেন্স থাকলেও নবায়ন নেই জেলা শহরের দুলাল-কছব যৌথ মালিকানাধীন ডিকে হোটেলের।
নতুন করে নিবন্ধন নিয়েছে ডিআর হোটেল। অন্যদিকে কয়েক যুগ ধরে কুড়িগ্রাম পুরোনো শহরে অবস্থানরত মিতা রেস্ট হাউজ, প্রবাসী, কাপড় বাজারে সাগর রেস্ট হাউজের নিবন্ধন ও লাইসেন্স না থাকলেও তারা দিব্বি আবাসিক হোটেলের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। গ্রাহকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ডিকে, ডিআর, স্মৃতি, প্রান্তি ও উলি আবাসিক হোটেলে গেলে অনেক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়।
হোটেলগুলো দুটি রেজিস্ট্রার খাতা ব্যবহার করছে। একটি হোটেলের জন্য অপরটি প্রশাসনের জন্য। রুম, বেড ভাড়ার মূল্য তালিকা গ্রাহকদের জন্য প্রদর্শিত নেই। হোটেলে অবস্থানরত গ্রাহকদের পরিচয় সঠিক যাচাই না করেই রেজিস্ট্রার ভুক্ত করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। রেজিস্ট্রারে গ্রাহকের নাম ঠিকানা মোবাইল নম্বর লিপিবদ্ধ করা থাকলেও জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট রেফারেন্স নম্বরটি লেখা থাকে না। হোটেল কর্তৃপক্ষ ভাড়া আদায়ের রশিদ গ্রাহককে দিচ্ছে না বলে গুরুত্বর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
হোটেল ম্যানেজম্যান্ট সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার জন্য দুটি রেজিস্টার, রসিদ ব্যবহার না করা ও পরিচয় শনাক্ত ব্যাপারে উদাসীন থাকার ফয়দা নিচ্ছে অপরাধীরা। অর্ণব প্যালেসের স্বত্বাধিকারী কফিল উদ্দিন খোকন জানান, তিনি রেজিস্ট্রেশন নিয়ে হোটেল ব্যবসা করছেন। যারা রেজিস্ট্রেশন ছাড়া ব্যবসা করছে সমস্যা তাদের।
জেলার রেজিস্ট্রেশন শাখার কর্মরত নিপিন চন্দ্র জানান, হোটেলের নিবন্ধন ও রেজিস্ট্রেশনের জন্য যে সব
সংযুক্তি কাগজপত্র চাওয়া হয় তার উপযুক্ততা না পাওয়ায় অনেক হোটেল নিবন্ধিত হতে পারে না। যার কারণে এখনও অনেক হোটেল অনিবন্ধিত রয়েছে।
সুত্র:শেয়ার বিজ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮