আমানুর রহমান খোকন:
আর মাত্র দু’সপ্তাহ বাকি মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার। এ ঈদ সামনে রেখে জমে উঠতে শুরু করেছে কুড়িগ্রাম জেলার পশুর হাটগুলো। তবে ক্রেতাদের তেমন উপস্থিতি না থাকায় পুরোপুরি জমে উঠছে না হাট। এদিকে দাম কমের শঙ্কায় ভুগছেন খামারিরা।জেলার ৯ উপজেলার বড় পশুর হাটগুলোতে কোরবানির উপযুক্ত পশু আসা শুরু করেছে। সদরের যাত্রাপুর, কাঁঠালবাড়ী, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, চিলমারীর থানাহাট, উলিপুরের দুর্গাপুর, রাজারহাট, সিংগেরডাবরী, ফুলবাড়ীর বালারহাট, রৌমারী, রাজিবপুরসহ সব পশুরহাটে কোরবানির পশু কেনাবেচা হচ্ছে। এছাড়া জেলার ছোট ছোট হাটগুলোতেও কোরবানির পশু তুলছেন বিক্রেতারা। হাটে পশু এলেও উল্লেখ্যযোগ্য ক্রেতা না থাকায় পশু ফেরত যাচ্ছে খামারিদের বাড়িতে। এবার ক্রেতার অভাবে পশুর দাম অনেক কম হওয়ার আশঙ্কা করছে অনেকে।
খামারি গবেষকদের মতে, বিগত বছরের তুলনায় এবারে পশুর দাম অনেক কম হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। খামারিরা ঋণ নিয়ে যথেষ্ট পরিমাণে পশু ঈদের জন্য প্রস্তুত করলেও তেমন ক্রেতার ভিড় নেই। গত বছরে যে ধরনের গরু ৬০-৬৫ হাজার টাকা বিক্রয় হয়েছিল এখন সে ধরনের গরু ৫০-৫৫ হাজার টাকার থেকে বেশি দাম বলছেন না ক্রেতারা। গত বছরের ৯-১০ হাজার টাকার ছাগল এবারে সাত-আট হাজার টাকায় বিক্রয় করতে হচ্ছে। তবে ঈদের সময় ঘনিয়ে এলে ক্রেতার চাপ বৃদ্ধি পেলে পশুর দাম বাড়তে পারে।
গত শনিবার যাত্রাপুর হাটে বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাওয়া গরু বিক্রেতা রহিম উদ্দিন জানান, কোরবানির ঈদের জন্য বাড়ির পালিত গরু হাটে নিয়ে এসেছিলাম বিক্রয়ের জন্য। ৪২ হাজার টাকা দাম চাইলে দু’একজন ক্রেতা ৩৪-৩৫ হাজার টাকা বলেছে। দাম কম বলায় গরু ফেরত নিয়ে যাচ্ছি।
একই কথা জানায় গরু বিক্রয় করতে আসা রহমত আলী, বাবর মিয়া ও শুকুর মামুদ। যাত্রাপুর হাটের ইজারাদার আলহাজ আবদুল গফুর জানান, হাটে অনেক উৎকৃষ্টমানের গরু ছাগল আসছে। ক্রেতার উপস্থিতি কম হওয়ায় পশুর দাম অনেক কম। বিক্রেতারা পশু বিক্রয় না করে তাদের পশু বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাচ্ছে। দাম কম হলে অনেক খামারির এবার লোকসান গুনতে হবে।