নিউজ ডেস্ক: কুড়িগ্রামে গত তিন সপ্তাহ ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। শ্রাবণের ভরা বর্ষায় তীব্র খরায় আমন আবাদ হুমকির মুখে পড়েছে। অত্যধিক তাপমাত্রার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে আমনের চারা। বৃষ্টির অভাবে পেরিয়ে যাচ্ছে আমন রোপণের সময়।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে কুড়িগ্রাম সদর ও রাজারহাট উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, আমন রোপণের ভরা মৌসুমে বিস্তীর্ণ আবাদি জমি খালি পড়ে আছে।
রাজারহাট উপজেলার দেবালয় গ্রামের কৃষক শাহ আলম জানান, আমন রোপণের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আগাছা পচানোর জন্য এক একর জমিতে চাষ দিয়েছেন। এখন বৃষ্টির অপেক্ষা করছেন। কিন্তু বৃষ্টি নামছে না। ফলে জমি শুকিয়ে নতুন করে আগাছা জন্মেছে। এ অবস্থায় রোপণ বিলম্বিত হওয়ার পাশপাশি বীজতলা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
একই গ্রামের কৃষক আমিন মিয়া জানান, আষাঢ়ের শেষ সপ্তাহ থেকে শ্রাবণের প্রথম সপ্তাহে চারা লাগানোর উপযুক্ত সময়। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় সময় পেরিয়ে যাচ্ছে।
কৃষক সম্বারু রায় ও মোজাফফর মিয়া জানান, আমন মৌসুম বৃষ্টিনির্ভর। এ সময় পর্যাপ্ত বৃষ্টি হওয়ায় সেচের দরকার হয় না। তা ছাড়া বোরো মৌসুমের পর বৈদ্যুতিক সেচপাম্পের জন্য ব্যবহৃত ট্রান্সফরমারও খুলে নিয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ। তাই বর্তমানে সেচের মাধ্যমে আমনের চারা রোপণ কঠিন হয়ে গেছে।
অন্যদিকে কয়েকজন কৃষক জানায়, তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় বীজতলায় চারার পাতা শুকিয়ে মরে যাচ্ছে। ফলে নতুন বীজতলা তৈরি করে আবাদ করা কঠিন হবে। তাতে ব্যয় বাড়বে, কমবে ফলন।
এ বিষয়ে দিনমজুর নিখিল চন্দ্র জানান, তাঁরা ১০ জনের মতো একটি দল নিয়ে চুক্তিতে চারা রোপণের কাজ করেন। গত বৃহস্পতিবার দলের দুজন সদস্য কাজ করতে গিয়ে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. মোস্তাফিজার রহমান প্রধান জানান, খরা মোকাবেলায় সম্পূরক সেচের মাধ্যমে চারা রোপণের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
সুত্র:কালের কন্ঠ, ২১ জুলাই, ২০১৮