নিউজ ডেস্কঃ
কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপনির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্ট রিট হয়েছে। বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।
ঘোষিত তফসিল অনুসারে ২৫ জুলাই কুড়িগ্রাম-৩ (উলিপুর উপজেলা একটি ও চিলমারীর ২টি ইউনিয়ন বাদে) আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। এ অবস্থায় সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ৩০ এপ্রিল ইসির প্রকাশিত এক গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের বাসিন্দা এস এম মোস্তাফিজুর রহমান রিটটি করেন। তাঁর পক্ষে আইনজীবী শেখ জাহাঙ্গীর আলম রিটটি দায়ের করেন।
জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩০ এপ্রিল সীমানা নির্ধারণসংক্রান্ত একটি গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এতে বলা হয়, চিলমারী উপজেলার চারটি ইউনিয়ন কুড়িগ্রাম-৪ আসনে অন্তর্ভুক্ত হবে। এই চার ইউনিয়ন হলো চিলমারী, রমনা, রানীগঞ্জ ও থানাহাট। আরও বলা হয়, এই চার ইউনিয়নের বাসিন্দারা কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপনির্বাচনেও ভোট দিতে পারবেন। রিট আবেদনকারী বর্তমানে কুড়িগ্রাম-৪–এর ভোটার। গেজেটে প্রকাশিত কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপনির্বাচনেও ভোট দিতে পারবেন—এ বিষয়টির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটটি করা হয়।
জেলা নির্বাচন অফিস জানায়, কুড়িগ্রাম-৩ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হলেও এই উপনির্বাচন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী সীমানা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। পূর্ববর্তী সীমানা অনুযায়ী কুড়িগ্রাম-৩ আসনের বর্তমান ভোটার সংখ্যা প্রায় ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮১১।
গত ১১ মে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য এ কে এম মাইদুল ইসলামের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়।
সূত্রঃ prothomalo