নিউজ ডেস্ক:
উজান থেকে নেমে আসা পানি ও পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ধরলা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, গঙ্গাধরসহ সবকটি নদ-নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী, নাগেশ্বরী ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ধরলা ও দুধকুমার নদীর অববাহিকার অন্তত ৪০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে।
গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত ধরলা নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নদীর তীরবর্তী প্রায় ১৫টি গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে পটল, ঢেঁড়স, মরিচ ও শসাসহ বিভিন্ন সবজিক্ষেত। নিম্নাঞ্চলের কাঁচা সড়কে পানি উঠে যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
সদর উপজেলার ধরলা নদীর অববাহিকার মাঝেরচর গ্রামের বাবলু মিয়া জানান, ধরলার পানি যেভাবে বাড়ছে, তাতে চরাঞ্চলের সব ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করবে।
অন্যদিকে গতকাল সকাল থেকেই দুধকুমার নদের পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। এতে নদের দুকূল ছাপিয়ে নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করছে। প্লাবন দেখা দিয়েছে ভুরুঙ্গামারী উপজেলার শিলকুড়ি ইউনিয়নের চর উত্তর টিলাই, উত্তর ধলডাঙ্গা, দক্ষিণ ধলডাঙ্গা, উত্তর সাতগোপাল, বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের চর বলদিয়া, ভরতের ছড়া, পাইকের ছড়া ইউনিয়নের পাইকের ছড়া, সাট পাইকের ছড়া, হ্যালোডাঙ্গা, তিলাই ইউনিয়নের দক্ষিণ তিলাই, চর ভুরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর, চর ভুরুঙ্গামারী, আন্ধারীর ঝাড় ইউনিয়নের চর ভাউরাকুটি, চর বারইটারী, বারাইটারী ও ভুরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের চর নালেয়াসহ প্রায় ২৫টি গ্রামে। এছাড়া নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুর নুনখাওয়ার কয়েকটি গ্রামের নিম্নাঞ্চলেও পানি ঢুকে পড়ছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশরী মো. শফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টায় ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার এক সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি ২৯ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৩৩ সেন্টিমিটার ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি ৪০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূত্র: বণিক বার্তা