নিউজ ডেস্ক: কুড়িগ্রামের প্রায় ২০ লাখ বাসিন্দার জন্য কোনো বিনোদন কেন্দ্র বা দর্শনীয় স্থান নেই। সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠেনি কোনো বিনোদন পার্ক। ফলে ছুটির দিনে ধরলা সেতু আর সংলগ্ন টি-বাঁধে ছুটে যায় মানুষ। বিশেষ করে ঈদের ছুটিতে এ স্থানে থাকে উপচে পড়া ভিড়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম শহরে পরিবার পরিকল্পনা অফিসসংলগ্ন পুরাতন শিশুপার্ক ও নতুন শহরের স্টাফ কোয়ার্টারসংলগ্ন নতুন শিশুপার্ক রয়েছে। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় পুরাতন শিশুপার্কটি এখন গো-চারণ ভূমি ও নেশাখোরদের আড্ডাখানা। এছাড়া নতুন শিশুপার্কে বিনোদনের সামগ্রী না থাকায় সেখানে কেউ যায় না।
২০১৭ সালের অক্টোবরে কুড়িগ্রামের ধরলা সেতুসংলগ্ন ২২ একর জমির ওপর শেখ রাসেল শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মো. জাফর আলী। অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে পৌরসভার বাজেট থেকে শেখ রাসেল শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের কথা বলা হয়। কিন্তু আজো কোনো অগ্রগতি হয়নি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পৌরসভার মেয়র আব্দুল জলিল বলেন, ‘আমরা সংশ্লিষ্ট বিভাগে পার্ক নির্মাণে ব্যয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। এটি পাস হলে পার্কটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। পার্কটি নির্মাণ হলে জেলার মানুষের বিনোদনের জায়গার অভাব হবে না। পাশাপাশি জেলার বাইরের মানুষজনও বিনোদনের জন্য এখানে আসতে পারবে।’
কুড়িগ্রাম শহরের বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক কর্মী সাংবাদিক শ্যামল ভৌমিক বলেন, ‘বিনোদন মানুষের সুন্দর জীবনের সহায়ক। কিন্তু দুঃখের বিষয় জেলার প্রায় ২০ লাখ মানুষের জন্য বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। শিশুরাও আনন্দহীন পরিবেশে বেড়ে উঠছে। শহরে দুটি শিশুপার্কের একটি তো গো-চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে, আর একটিতে বিনোদনের কোনো পরিবেশ নেই। আমরা দীর্ঘদিন ধরে শহরে আধুনিক শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের দাবি করে আসছি। ধরলা সেতুসংলগ্ন যে শেখ রাসেল শিশুপার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে, সেটাতেও পৌর কর্তৃপক্ষের তত্পরতা না থাকায় এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কিছুই হয়নি।
সুত্র:বণিক বার্তা, জুলাই ০১, ২০১৮