লাইফস্টাইল ডেস্ক: পানীয় হিসেবে চায়ের স্বাস্থ্যগুণ বলে শেষ করার মতো নয়। সাম্প্রতিক সময়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্কাবস্থায় হূদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে হলে দিনে এক কাপ চা-ই যথেষ্ট। উপকারী ‘ভালো কোলেস্টেরলের’ মাত্রা সংরক্ষণের মাধ্যমে হূদরোগ থেকে সুরক্ষা দেয় বিশ্বের সর্বাধিক প্রচলিত পানীয়টি। খবর হেলথ ডে।
হূদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমানোয় চায়ের কার্যকারিতা আগেও প্রমাণিত হয়েছে। দেখা গেছে, দেহের জন্য খারাপ কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত নিম্নঘনত্বের লিপোপ্রোটিনের (লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন বা এলডিএল) মাত্রা কমিয়ে রাখতে সহায়তা করে চা। ধমনিতে আস্তর ফেলে দেয়া পদার্থ হিসেবে এলডিএলের বেশ কুখ্যাতি রয়েছে।
তবে হূদযন্ত্রের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত উচ্চঘনত্বের লিপোপ্রোটিনের (হাই ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন বা এইচডিএল) ওপর চায়ের প্রতিক্রিয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনো পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেননি গবেষকরা।
কোনো কোনো গবেষণায় উঠে এসেছে, চা পানের কারণে রক্তে এইচডিএলের মাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যায়। আবার কিছু গবেষণায় পাওয়া তথ্য বলছে, এইচডিএলের মাত্রায় চায়ের কোনো প্রভাবই পড়ে না।
পরস্পরবিরোধী তথ্যের এ বিবাদ ভঞ্জন হয়েছে সাম্প্রতিক এক গবেষণায়। এতে দেখা গেছে, বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রক্তে এইচডিএলের স্বাভাবিক মাত্রা হ্রাস পাওয়ার বিষয়টিকে বিলম্বিত করে তোলে চা। গবেষণায় উঠে আসা তথ্য সোমবার জার্নাল অব আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত হয়েছে।
ছয় বছর ধরে চীনের তাংশানের কাইলুয়ান সম্প্রদায়ের ৮০ হাজার ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে পরিচালিত হয়েছে গবেষণাটি। এতে দেখা যায়, নিয়মিত চা পানকারীদের দেহে বয়স হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এইচডিএলের মাত্রা কমেছে স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বিলম্ব গতিতে। ফলে গবেষণার আওতাধীন ব্যক্তিদের হূদরোগের আশঙ্কা কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, দেহে ক্ষতিকর এলডিএলের মাত্রা কমানোর ক্ষেত্রে অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা রাখে এইচডিএল। এলডিএলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হূদযন্ত্রের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে উপাদানটি।
এক্ষেত্রে কালো চায়ের তুলনায় সবুজ চা বেশি কার্যকর বলে গবেষণায় উঠে আসে। তবে দুই ধরনের চায়েই প্রদাহনাশক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনল ও ক্যাটেচিনের উপস্থিতি বেশ জোরালো।
সুত্র:বণিক বার্তা