লাইফস্টাইল ডেস্কঃ
বাঙালির ইফতারের টেবিলে পেঁয়াজু, বেগুনিসহ হরেক রকমের তেলেভাজা খাবার না হলে চলেই না। কিন্তু গরমের তীব্রতায় সারাদিন উপবাস থেকে এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর শরীরের বারোটা বেজে যেতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে রোজা রাখার কারণে যারা গ্যাস্ট্রিক, আলসার, কোষ্টকাঠিন্য ইত্যাদিতে ভুগে থাকেন তাদের জন্য এ ধরনের ইফতার করাই উচিত না। তবে পুরো রমজান মাসে যদি ইফতারের সঙ্গী হয় ক্ষীরমোহন তাহলে ইফতারে আমেজটাই বদলে যাবে। এতে করে ইফতারের স্বাদ হবে অতুলনীয় আর স্বাস্থ্যও থাকবে অটুট।
ক্ষীরমোহন সম্পর্কে জানুনঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার এই ঐতিহ্যবাহী খাবারের নাম ক্ষীরমোহন। এখন থেকে প্রায় ৬০ বছর আগে অমৃত স্বাদের এই ক্ষীরমোহন উলিপুর থেকে উৎপাদিত হওয়া শুরু করে। সময়ের পরিক্রমায় দেশের মানুষের মন জয় করে এখন ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে ক্ষীরমোহন। ঈদ,পূজা, বিয়ে বা যেকোনো সামাজিক অনুষ্ঠান, অতিথি আপ্যায়ন, আত্মীয়স্বজনের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার এক প্রথাগত রেওয়াজ সৃষ্টি হওয়া ছাড়াও ভোজনবিলাসী মানুষের কাছে এক প্রিয় নাম ক্ষীরমোহন। দিন দিন এর চাহিদা ও সুখ্যাতি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে।বৃটেনের রাণী এলিজাবেথ থেকে শুরু করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এমন অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি প্রশংসা করেছেন ক্ষীরমোহনের। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আপ্যায়ন করা হয় এই ক্ষীরমোহন দিয়ে। ক্ষীরমোহন খেয়ে ভূঁয়সী প্রশংসা করেন বঙ্গবন্ধু। রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথের কাছেও পৌঁছে দেয়া হয়েছিল ক্ষীরমোহন। তিনিও প্রশংসা করেছিলেন অমৃত স্বাদের এই খাবারটির।
প্রস্তুত প্রণালীঃ
ক্ষীর ও মোহনের সংমিশ্রণে তৈরি হয় ক্ষীরমোহন। ক্ষীর হলো মিষ্টির রস। এক মণ দুধ জ্বাল দিয়ে এর সঙ্গে নানা ধরনের মসলা মিশিয়ে তৈরি করা হয় রস। মিষ্টির এই রসকে স্থানীয়ভাবে ক্ষীর বলা হয়। অন্যদিকে মোহন বলতে সাদা মিষ্টির অংশকে বোঝানো হয়েছে। দুধ ক্ষীরে পরিণত হলে ও মিষ্টির ভেতরে ক্ষীর ঢুকে গেলে তৈরি হয় অমৃত স্বাদের ক্ষীরমোহন।এক কেজি ক্ষীরমোহন তৈরি করতে তিন থেকে সাড়ে তিন কেজি দুধ প্রয়োজন হয়।
উপকরণঃ
দুধ, চিনি, ঘি, দুধের ছানা, ময়দা, তেজপাতা, ছোট এলাচ ইত্যাদি।
কোথায় কিনতে পাবেন?
ঢাকায় বসে পাওয়া যাচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন ‘ক্ষীরমোহন’। www.khirmohon.com ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অর্ডার করলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বাসায় পৌঁছে যাবে ক্ষীরমোহন। এ প্রসঙ্গে ক্ষীরমোহন ডটকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রূপম রাজ্জাক বলেন, ‘সর্বনিম্ন দুই কেজি ক্ষীরমোহন অর্ডার দেওয়া যাবে এখানে। অর্ডার দেওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের নিজস্ব ডেলিভারি ব্যবস্থাপনায় গ্রাহকের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে ক্ষীরমোহন। ডেলিভারির জন্য আলাদা কোন চার্জ রাখছি না আমরা।’